বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:২২ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন জয়নাল আবেদীন মাযহারী নামে কুমিল্লার এক আইনজীবী। প্রভার ভাইরাল হওয়া সেই স্ক্যান্ডালের বিষয়ে ভুল স্বীকার করে জনসম্মুখে ক্ষমা প্রার্থনা করে ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবেন না মর্মে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে শুক্রবার (২৫ মার্চ) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। এছাড়া জবাব না দিলে ভাইরাল হওয়া স্ক্যান্ডালের কারণে গণউৎপাত, নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টির অভিযোগে প্রভার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মাযহারী কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও কুমিল্লা জজকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত আছেন।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মাযহারী জানান, বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ডাক বিভাগের রেজিস্ট্রি ৫১৪ নম্বর রশিদের মাধ্যমে এডিসহ (প্রাপ্তি স্বীকার) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশটি অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা, প্রযতেœ আহসান হাবীব নাসিম, অভিনয় শিল্পী সংঘ কার্যালয় ১০/এ, ব্লক-এ রোড নম্বর ২, নিকেতন, গুলশান-১ ঢাকা, এই ঠিকানায় পাঠানো হয়। ০৫৫/২৩ রেফারেন্স নম্বরীয় লিগ্যাল নোটিশটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রভার উল্লেখিত ঠিকানায় পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অভিনেত্রী প্রভাকে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে আইনজীবী জয়নাল উল্লেখ করেন, আপনি লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতা আপনার কিছু কর্মকাণ্ডকে ধর্ম এবং প্রচলিত আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং তরুণ প্রজন্মকে গণউৎপাত হেতুতে বিপদগামী করবে বলে আমার বিশ্বাস জন্মানোর কারণে জনস্বার্থে এবং নিজে সংক্ষুব্ধ হয়ে আপনাকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করলাম। আমরা বিভিন্ন মারফত জানতে পেরেছি কয়েক বছর আগে আপনার একটি স্ক্যান্ডাল ভাইরাল হয়েছে। মিডিয়া জগতে কাজ করলে সত্য মিথ্যা অনেক স্ক্যান্ডাল ভাইরাল হয়ে থাকে। আপনার স্ক্যান্ডালের বিষয়ে আমরা সে ঘটনা রটনা হিসেবে গণ্য করায় তা আমাদের কাছে তেমন গুরুত্ব পায়নি। উক্ত বিষয়ের আপনার নৈতিক ভিত্তির জবাব আপনার বিবেকের কাছে দেবেন বলে বিশ্বাস করি।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জাতীয় কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত আপনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে জানতে পেরেছি ২০১০ সালে আপনার ২২ বছর বয়স ছিল। সেসময় জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে আপনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের একপর্যায়ে আপনারা বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। যা পরবর্তীতে আপনার পার্টনার দ্বারা পাবলিক হয়। আপনার বক্তব্য অনুযায়ী, গত ১০ বছর আগে আপনার সঙ্গে যা হয়েছে তার জন্য আপনি দায়ী নন। একজনের অসততার কারণে আপনাকে সারাজীবন ভুগতে হয়েছে। অর্থাৎ উক্ত বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কে আপনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ ঘটনা মিথ্যা মর্মে আপনি দেশের প্রচলিত আইনে কোনো আশ্রয় নেননি। এমনকি উক্ত ঘটনা একটা ভুল ছিল, ভবিষ্যতে আর এমন ভুল হবে না মর্মে কোনো বিবৃতি দেননি। যা আপনার দোষী মানসিকতাকে নির্দেশ করে মর্মে সচেতন মহল মনে করে।
সূত্র-কালেরকণ্ঠ
মন্তব্য করুন