সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন
আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের প্রাণভিক্ষা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি ‘অবান্তর’ মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিভ্রান্ত করতে এ সব কথা বলা হচ্ছে।’
সচিবালয়ে রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করা। ক্ষমা না চাইলেও কিন্তু রায় কার্যকর করতে পারতাম। এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে অবান্তর, একটা ইস্যু সৃষ্টি করা।’
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে কার্যকর করা হয়।
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও দুই পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা প্রাণভিক্ষা চাননি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘উনারা (পরিবারের সদস্যরা) বাংলাদেশের জনগণকে নয়, সারাবিশ্বে তাদের যারা মদদদাতা আছেন তাদের বিভ্রান্ত করতেও এ সব কথা বলছেন।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, উনারা যে দরখাস্ত করেছিলেন তা সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ব্যবহারের জন্য। যদি কোনো আবেদনের উপরে লেখা থাকে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৯ প্রসঙ্গে তাহলে কী সেটা মাফ চাওয়ার দরখাস্ত হয় না? সেটা আপনারা (সাংবাদিক) বিচার করেন।’
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সংক্রান্ত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদটি পড়েও শোনান আইনমন্ত্রী। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে কোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।’
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর আর কোনো পিটিশন করা যায় না জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শুধুমাত্র সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগে মাফ চেয়ে আবেদন করা যায়। আমাদের কাছে যে পিটিশন দুটি এসেছিল সেগুলো মতামত দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছিলাম, যা রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিয়েছেন। ওটি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের দরখাস্ত ছিল।’
প্রাণভিক্ষা নিয়ে বিতর্কের কারণে ওই আবেদন প্রকাশ করা হবে কি না-জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অনুমতি ছাড়া ওই দরখাস্ত প্রকাশ করা যাবে না।’
এর আগে, কোনো যুদ্ধাপরাধী অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চায়নি। তাদের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টির রাজনৈতিক প্রভাব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটার পলিটিক্যাল ইমপ্যাক্টের কথা যদি বলেন তবে বলতে হয়, এটা জনগণ যেভাবে গ্রহণ করবে, আমরা যারা রাজনীতিবিদ জনগণের প্রতিনিধি, আমরা সেভাবেই গ্রহণ করব।’
সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর না করতে কোনো বিদেশী সরকারের চাপ ছিল না জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কমার্শিয়াল সংগঠন যদি রায় স্থগিতের অনুরোধ করে আমরা তা মানতে রাজি নই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কেউ পয়সা দেয় এ্যামেনেস্টি তখন তাদের গান গায়, একপক্ষের কথা বলে।’
দ্য রিপোর্ট
মন্তব্য করুন