শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন

বিট কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কাটা হয় ‘মাদার ট্রি’ !

বিট কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কাটা হয় ‘মাদার ট্রি’ !

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ছবি-চকরিয়ার ডুলাহাজার এলাকার ছবি।

 

 

কক্সবাজার বনবিভাগের বিট কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কাটা হচ্ছে মাদার ট্রি। বনবিভাগের কর্মকর্তাদের অনিয়ম নিয়ে আলোকিত কক্সবাজারের ধারাবাহিক প্রতিবেদন আজ পড়ুন প্রতিবেদনের পঞ্চম পর্ব।

ওয়াহিদ রুবেল।।

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়ায় ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ এবং ঈদগাঁও রেঞ্জ এর আওতায় গর্জন বাগানের মাদার ট্রি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। স্থানীয় বিট ও রেঞ্জ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এসব গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাদের। সম্প্রতি ফাঁসিয়াখালী থেকে মাদার ট্রি কাটার একটি ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তবে এর কোন কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন বনবিভাগ। এ অবস্থায় দায়িত্বশীল বন কর্মকর্তাদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

গেল ১৭ জানুয়ারি বিকেল চারটার দিকে ঈদগাঁও ভোমরিয়া ঘোনা এলাকার একটি গর্জন বাগান থেকে গাছ কেটে নিয়ে যায় একদল যুবক। অথচ একটু দুরে বিট ও রেঞ্জ অফিস। প্রকাশ্যে গর্জন গাছ কেটে নিয়ে গেলেও তাদের মাঝে কোন আতংক দেখা যায়নি। কাছে গিয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, বিট কর্মকর্তারা গাছটি তাদের কাছে বিক্রি করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁও রেঞ্জ ও ভোমরিয়াঘোনা বিট কর্মকর্তারা প্রায় সময় শতবর্ষী গর্জন গাছ বিক্রি করে থাকেন। আর মধ্যস্ততা করেন বিটের ভিলেজার ও ফরেস্টার। বিক্রিত গাছের লভ্যাংশ পান বিভাগীয় বন কর্মকর্তাও। এ অবস্থা চলতে থাকলে দ্রæতই ধ্বংস হয়ে যাবে শতবর্ষী গর্জন বাগানটি।

 

ছবি-ভোমরিয়া ঘোনা বিট থেকে গর্জন গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য।

 

ভোমরিয়াঘোনা বিট কর্মকর্তা মংইউ চাকমা বলেন, রাতের আধারে একটি গর্জন গাছ কাটেন চোরের দল। খবর পেয়ে আমরা গাছটি জব্দ করি। সকালে গাছটি বিট অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। গর্জন গাছের একটি অংশ যুবকদের হাতে কিভাবে আসলো জানতে চাইলে তিনি এ ধরনের কোন গাছ তাদের হাতে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এটা আমি বলতে পারবো না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঈদগাঁও রেঞ্জের কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন খান বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। গাছ বিক্রির বিষয়ে তিনি অবগত নয়।

অপরদিকে প্রতিবেদকের হাতে আসা ভিডিওতে দেখা যায় মালুমঘাট রেঞ্জের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী বিটের আওতায় মাদ্রার ট্রি গর্জন গাছ কাটা হচ্ছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফাসিয়াখালী বিটের হেডম্যান নামে পরিচিত দলিল আহম্মদ ও ভিলেজার মকসুদ আহম্মদের নেতৃত্বে এসব গাছ কাটা হচ্ছে। গাছ বিক্রির টাকা যায় স্থানীয় বিট রেঞ্জ অফিস থেকে শুরু করে বিভাগীয় বন কক্সবাজার পর্যন্ত।

এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পর্র্বতীতে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক প্রান্তোষ চন্দ্র রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বনবিভাগের কোন কর্মকর্তার গাছ বিক্রির সুযোগ নাই। গাছ কাটা বা বিক্রির বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বনসংক্ষক বিপুল কৃষ্ণ রায় বলেন, আমাদের কোন কর্মকর্তা গাছ বিক্রির সাথে জড়িত নেই। আপনার (প্রতিবেদক) তথ্য যদি সত্য হয় তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM