বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন
মোস্তফা কামাল:
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রধান গেইটের প্রবেশ পথে গড়ে তোলা ব্যক্তি মালিকানাধীন কটেজগুলো পুলিশের অভিযানে উচ্ছেদের পর, এবার সামনে তালা দিয়ে পেছনে খোলা রেখে পুণরায় জমিয়ে তুলেছে দেহ ব্যবসা। সম্প্রতি কটেজ গুলোতে দেহ ব্যবসা বেড়ে যাওয়ায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ষার্থে কক্সবাজার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নের্তৃত্বে গত দুই/আড়াই মাস আগে কটেজগুলোর কিছু অংশ ভাংচুর করে এসব কটেজ উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে কটেজ মালিকরা পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অনৈতিক এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে আবারো। বর্তমানে দালালদের মাধ্যমে কক্সবাজার, বান্দরবান ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাড়াটে মহিলাদের জড়ো করে দিব্যি এ অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এছাড়া স্কুল কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্রতারক প্রেমিকের পাল্লায় পড়ে এসব কটেজে অতিথি হচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে শিক্ষার্থীরা প্রেমিকের সাথে সাফারি পার্ক দর্শনের বাহানায় এসে এসব কটেজে ঢুকে। অনিচ্ছাকৃত ভাবে ভোগের সামগ্রীতে পরিণত হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কটেজগুলোতে ইচ্ছাকৃত ভাবে অতিথি হচ্ছেন বিদেশ প্রবাসীদের স্ত্রীরাও। স্থানীয় সচেতন মহল জানান, কটেজগুলোতে জমে উঠেছে অনৈতিক কর্মকান্ডের বাজার। চকরিয়া থানা পুলিশের দফায় দফায় অভিযানে এসব কটেজগুলো থেকে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ বিদেশ প্রবাসীর অনেকের স্ত্রীকে আটক করলেও কটেজ মালিকদের গ্রেফতার না করায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মহাসড়ক পেরিয়ে পার্কের প্রধান গেইট অতিক্রম করে একটু ভেতরে গেলে এসব কটেজের অবস্থান। কটেজগুলোর বাহিরে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত অপেক্ষামান থাকে যুবক বয়সের দালাল প্রকৃতির লোক। তারা পার্কে আসা যুবক-যুবতীকে দেখলেই বলে, আসেন আরামের ভাল জায়গা আছে, আসেন। এসব যুবক-যুবতীরা ঢুকে পড়েন কটেজগুলোতে। মোট ৫টি কটেজে ছোট-বড় ৪০টি রুম (কক্ষ) রয়েছে। একটি রুম প্রতি ঘন্টায় ভাড়া ১২০০ টাকা ও গতানুগতিক রুম ঘন্টায় ভাড়া নেন ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা করে। এলাকাবাসীর দাবি, কটেজগুলোতে দিনদিন দেহ ব্যবসা বেড়ে যাচ্ছে। এসব কটেজ গুলো বন্ধ না হলে আমাদের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী ও বিদেশ প্রবাসীদের স্ত্রীদেরকে অনৈতিক কাজ থেকে রক্ষা করা কোন কিছুতেই সম্ভব নয়। এলাকাবাসী এব্যাপারে কটেজ মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চকরিয়া থানা পুলিশসহ সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।সাফারি পার্ক কটেজগুলোতে আবারো জমে উঠেছে অনৈতিক ব্যবসা!
মন্তব্য করুন