বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
ছবি-র্যাবের হাতে আটক অ্যাডভোকেট তাহের সিকদারসহ পাঁচজন।
ওয়াহিদ রুবেল।।
জাতীয় শ্রমিকলীগ কক্সবাজার জেলার সভাপতি জহিরুল ইসলাম হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর মুক্ত হয়ে চাঁদাবাজির সাথে জড়িয়ে পড়েন প্রধান আসামী অ্যাডভোকেট তাহের সিকদার। কক্সবাজারে গণপরিবহণ কেন্দ্রীক গড়ে তুলেন শক্তিশালী চাঁদাবাজ চক্র। গণপরিবহনে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে তাহের সিকদারসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫ এর একটি টিম। কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংকরোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের রসিদ ও নগদ দশ হাজার ২০০ টাকা জব্দ করা হয়।
অ্যাডভোকেট তাহের সিকদার সদ্য সমাপ্ত কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়ত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব।
তাহের আহমেদ সিকদার কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা মুহুরিপাড়ার বাসিন্দা মৃত আফতার উদ্দিন সিকদারের ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা অন্যান্যরা হলেন, টেকনাফ হোয়াইক্যং ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত ইসলামের ছেলে গিয়াস উদ্দিন(৩৫), রামু উপজেলার ফতেকারকুল ইউনিয়নের হাইটুপিগ্রামের বাসিন্দা নিরঞ্জন বড়ুয়ার ছেলে সুজন বড়ুয়া(৪২), কক্সবাজার ঝিলংজার বেসিক মুহুরিপাড়া এলাকার আবু বক্করের ছেলে ওয়াবায়দুল করিম (৪০) এবং চট্টগ্রামের চন্দনাইশ বড়মা ইউনিয়নের চরবড়মা এলাকার মৃত গোলাম কাদেরের ছেলে শাহ জাহান(৪৮)। বর্তমানে তিনি উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মৌলভীপাড়ায় বসবাস করছেন।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসামীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কক্সবাজারে আসা যানবাহনের চালক/শ্রমিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। এছাড়া কক্সবাজারের বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার ইনচার্জদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায় করতো। চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দিতো। আটককৃতদের বিরুদ্ধে শ্যামলী পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খোরশেদ আলম শামীম বাদী হয়ে কক্সবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১৫ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক বলেন অপরাধীরা যত শক্তিশালী হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন