বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১২ অপরাহ্ন

শিক্ষক ৫জন, বিজ্ঞান বিভাগের ৬ পরিক্ষার্থীই ফেল

শিক্ষক ৫জন, বিজ্ঞান বিভাগের ৬ পরিক্ষার্থীই ফেল

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ফাইল ছবি উখিয়া কলেজ।

 

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কক্সবাজারের উখিয়া কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাশ করতে পারেনি। ৬ জন শিক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে। অথচ সেই বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকও আছেন ৫ জন। শুধু বিজ্ঞান বিভাগে নয় কলেজে এবারে ফল বিপর্যয় পেয়ে মারাত্মকভাবে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঘোষিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) ফলাফলে দেখা যায় উখিয়া কলেজের ৫৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ১৭২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র একজন। পাশের হার ৩০.২৯ শতাংশ।

নুর মোহাম্মদ সিকদার ও সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানিয়েছেন, তারা কলেজের ইন্টারের কোন শিক্ষার্থীকে এনজিওতে চাকরি না দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেননি । রোহিঙ্গাদের সেবা দিতে গিয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা হারাচ্ছে। অথচ রোহিঙ্গারাই উল্টো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে পড়ালেখা করে চাকরির বাজার দখল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তারা আরো বলেন, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন কক্সবাজারের সবগুলো কলেজ ভাল ফলাফল করেছে। এমনকি যেখানে জিপিএ-৫ এর ছড়াছড়ি সেখানে উখিয়া কলেজটির এমন বেহাল অবস্থা কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছেনা।

এবিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অজিত কুমার দাশ জানান, শিক্ষার্থীরা কলেজে আসেনা। তাদের ভর্তি ও পরীক্ষার সময় দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা শিবিরে এনজিওতে চাকরি করে। অভিভাবক সমাবেশ ডাকলে ৪ হাজারের মধ্যে ৩- ৪ জন আসেন।

তিনি বলেন, এভাবে ফলাফল বিপর্যয় হবে তা কল্পনাতেও ছিল না। বিজ্ঞান বিভাগে ৫ জন শিক্ষক আছেন এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ৬ জন। তবুও একজন শিক্ষার্থীও পাশ না করার বিষয়টি বেদনাদায়ক।

তবে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ করে বলেছেন, শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস নিতেন না।

কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলের পর থেকে কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজ বাদ দিয়ে চাকুরির দিকে ঝুঁকে পড়ার ফলে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM