রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
ছবি-তুমব্রুতে আশ্রিত রোহিঙ্গা তাবু।
বিশেষ প্রতিবেদক।।
১৮ জানুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্টি ‘আরসা ও আরএসও’র মধ্যে সংঘাত ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহ নিহত এবং দুজন আহত হয়েছে। এ সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের তুমব্রু বাজারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেয় ৫৩৭ টি রোহিঙ্গা পরিবার। সোমবার আশ্রিত রোহিঙ্গাদের গণনা শেষ করে অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুজ্জামান চৌধুরী তাদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইসিআরসি) এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের গণনার কাজ করা হয়। যার সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন একজন ইউপি সদস্য। তাদের পরিচালিত গণনার কাজ সোমবার শেষ হয়। পরিসংখ্যানে ২৮৮৯ জন রোহিঙ্গার তথ্য পাওয়া যায়।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা জানিয়েছেন, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের গণনা শেষ হয়েছে সবে মাত্র। এরপর তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যখন থেকে সিদ্ধান্ত নেবেন, ঠিক তখনই তা বাস্তবায়ন হবে। এর আগে নয়। তবে সময় ক্ষেপণ করা হবে না। কেননা পরিবেশ রক্ষা এবং তাদের নিরাপত্তা এখন মূখ্য বিষয়।
কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুজ্জামান চৌধুরী বলেন, শূণ্যরেখার ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় নেয়া ২ হাজার ৮৮৯ জন রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকেই উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত। ওদের স্ব-স্ব ক্যাম্পে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ করা হবে। এছাড়া যারা কোন ক্যাম্পে নিবন্ধিত নন, তাদের কুতুপালং রেহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে। গণনা করা রোহিঙ্গাদের মধ্যে যদি চিহ্নিত কোন অপরাধি বা কারো বিরুদ্ধে মামলা থাকে তবে তাদের ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মিলে বর্তমানে সাড়ে এগারো লাখের অধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে অবস্থান করছে।
মন্তব্য করুন