শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন

পেকুয়ায় সাড়া জাগিয়েছে রাইচ ট্রান্সপ্লান্ট

পেকুয়ায় সাড়া জাগিয়েছে রাইচ ট্রান্সপ্লান্ট

অনলাইন বিজ্ঞাপন

 

পেকুয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রথমবারের মতো রাইচ ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপন শুরু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে চারা রোপন সাড়া ফেলেছে পুরো পেকুয়ায়। ২৯ জানুয়ারী পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মহুরী পাড়া এলাকায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর পেকুয়ার সার্বিক তত্বাবধানে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে বুরো ধানের চারা রোপন করেন কৃষক খালেদ বিন সমাদ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমাতে সরকার ৭০% ভূর্তকি ও ৩০% টাকা দিয়ে কৃষকদেরকে রাইচ ট্রান্সপ্লান্ট মেশিন ক্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। এতে করে একদিকে যেমন খরচ কমবে অন্যদিকে ফসল উৎপাদন বাড়বে।

কৃষক খালেদ বিন সমাদ বলেন, রাইচ ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে এক ঘন্টায় ৪০ শতক জমির ধানের চারা রোপন করা যায়। সময় ও ব্যয় দুটিই বাঁচবে। আশা করছি উৎপাদন ভাল হবে। আমার জমিগুলোর ধান রোপন করে অন্য জনের জমিও রোপন করছি। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতার মাধ্যমে এ মেশিন কিনতে পেরেছি। কৃষি অফিসার ও ব্লক অফিসারের সার্বিক দিকনির্দেশনা নিচ্ছি। কানি প্রতি ২ হাজার টাকা বাচবে।

উপকারভোগী নুরুল হোছাইন জানায়, এ মেশিনে আমার জমি চারা রোপন করছি। স্বাভাবিক ভাবে করলে ৫ হাজার টাকা খরচ হয় কিন্তু এ মেশিন দিয়ে করছি ৩ হাজার টাকা খরচ হল। এ মেশিন আসায় কৃষকদের কষ্ট কমে গেলো।

উপজেলা কৃষি অফিসার তপন কুমার জানান, রাইচ ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন করলে একদিকে যেমন খরচ বাঁচবে অন্যদিকে উৎপাদন ও বাড়বে। স্বাভাবিক ভাবে রোপন করলে ৪ হাজার ৫ শত টাকা খরচ হয় মেশিন দিয়ে করলে ২ হাজার ৮ শত টাকা কিংবা ৩ হাজারের মধ্যে করা সম্ভব। এ মেশিনটি বাজার মূল্য ৪ লক্ষ টাকা কিন্তু সরকার ৭০% ভুত্তুকিতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় দিচ্ছে কৃষকদের।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM