মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৯:০১ অপরাহ্ন
ছবি-র্যাবের হাতে আটক অপহরণ চক্রের আট সদস্য। ইনসেট সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন র্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রেজুয়ানুর রহমান।
।।ওয়াহিদ রুবেল।।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দুর্গম পাহাড়ি উদালিয়া নামক এলাকায় একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭ এর একটি টিম। এসময় অপহরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ আটকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আটককৃতদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছেন, এ চক্রটি বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী লোকজনকে অপহরণ করে আটকে রাখত। পরে তাদের পায়ে শিকল বেঁধে মারধর করে তাদের পরিবারের কাছে মুক্তিপন দাবি করতো। অনেক সময় মুক্তিপণ আদায় করার পরও অপহৃতদের ছেড়ে না দিয়ে নন জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্পে স¦াক্ষর নিত। পরে মধ্যযুগীয় কায়দায় দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় ইটভাটায় কাজ করাত এবং রাতের বেলা পায়ে শেকল দিয়ে খুঁটির সাথে বেঁধে রাখতো।
২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বারৈহাট এলাকার একটি ভাড়া ঘরে অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন হাটাজারি থানার পশ্চিম ধলই এলাকার মৃত মাস্টার জেবল হোসেনের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী প্রকাশ কালু চেয়ারম্যান(৬৮), নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার উত্তর কচ্ছপিয়া এলাকার বাসিন্দা মো: মনির আহমেদের ছেলে মোঃ খোকন (৩২), মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে মোঃ ইউসুফ(৩৬),সবর্ণচর থানার চরপানা উল্লাহ এলাকার আনার আহমদের ছেলে মোঃ আলা উদ্দিন (৩৭),নেয়াখালী সদর থানার গোড়াপুর এলাকার মো: মোস্তফার ছেলে শহিদুল্লাহ রাজু(৩৩), চরপানা উল্লাহ এলাকার মো: শাহজাহানের ছেলে মোঃ নাজিম (৩৬), চরভাগ্য এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলাম(৪৮) এবং পশ্চিম চরজব্বার এলাকার মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে মোঃ সেলিম (৫১)।
বৃহস্পতিবার পতেঙ্গা র্যাব-৭ এর মিডিয়া সেন্টারে কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রেজুয়ানুর রহমান।
তিনি বলেন, অপহৃতরা চট্টগ্রাম মহানগেরের উত্তর হালিশহর এলাকায় বাসা ভাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। গত ২০ জানুয়ারি সকালে প্রতিদিনের মতো রিকশা নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরে না আসায় ভিকটিমের বাবা এবং তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি করেন। কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে বাবা হালিশহর থানায় একটি হারানো জিডি করেন (যার জিডি নং-১১১০)। পরদিন ২১ জানুয়ারি বাদীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোন করে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে ভিকটিমকে মেরে ফেলার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। বিষয়টি তিনি র্যাবকে অবহিত করেন।
র্যাব-৭ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার করে এবং অপহরণ চক্রের আট সদস্যকে আটক করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো: নূরুল আবছার।
মন্তব্য করুন