বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
ছবি-বাগন থেকে কুল তুলছেন নেজাম উদ্দিন।
।।ওয়াহিদ রুবেল।।
নেজাম উদ্দিন (৩২)। স্বপ্ন দেখেছিলেন পড়ালেখা করে একদিন অনেক বড় হবেন। নানা প্রতিকূলতার মাঝে তার সে স্বপ্ন অধরায় রয়ে গেলে। তাই বলে কি আর বসে থাকা চলে। বন্ধু সারওয়ার কামাল, ওমর ফারুক, আব্দুস শুক্কুর, মোঃ ছাদেক, তাজুল ইসলাম, মোঃ ইব্রাহিম, আসাদ আলী, শাহআলম ও ডাঃ শাহাবুদ্দীন মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন কুল (বরই) চাষের। বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নের কাগজি খোলা এলাকায় পাঁচ একর জমি ভাড়া নিয়ে কাশ্মীরি কুল, বল সুন্দরী কুল ও ভারত সুন্দরী প্রজাতির দেড় হাজার চারা রোপন করেন জমিতে। বছর ঘুরে আসতেই শুরু হয় ভাগ্য বদলের গল্প। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। এখন তাদের বাগান থেকে প্রতিদিন গড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০৬০ হাজার টাকার কুল।
নাজিম উদ্দিন কক্সবাজার রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের মৃত লাল হোসেনের ছেলে । তার বন্ধুরাও একই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
নাজিম উদ্দিন বলেন, আমাদের বেশিরভাগ সময় কাটে ফেসবুক ও ইউটিউব দেখে। একদিন ইউটিউবে কুল চাষের একটি ভিডিও দেখি। বন্ধুদের সাথে কুল চাষের ভিডিও নিয়ে আলোচনা করি এবং ইউটিউব থেকে কুল চাষ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি। পরে দশ বন্ধু মিলে পাঁচ একর জমি বর্গা নিয়ে কুল চাষ শুরু করি। প্রথম বছর কাশ্মীরি কুল, বল সুন্দরী কুল ও ভারত সুন্দরীসহ তিন প্রজাতির দেড় হাজার চারা রোপন করি। বাগানের দ্বিতীয় বছর পর্যন্ত লাভ ক্ষতি ছিল সমান সমান। তৃতীয় বছরে এসে লাভের মুখ দেখেছি।
নেজ উদ্দিন জানান, প্রতিদিন ৬০-৭০ হাজার টাকার মত বিক্রি হয়। নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অনেক শ্রমিক তাদের কুল বাগানে কাজ করে সংসার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, সবাই তো চাকুরির পেছনে ঘুরে। আমরা একটু ভিন্ন চিন্তা করে কুল চাষে মনযোগ দিয়েছি। তবে সরকারি কৃষি বিভাগ থেকে আমাদের কোন প্রকার সাহায্য করা হয়নি। আশা করছি ভবিষ্যতে কৃষি বিভাগ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে, বাইশারি ও ঈদগড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দশটি কুল বাগান রয়েছে। এসব বাগান থেকে উৎপাদিত বরই কক্সবাজার জেলার চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরেও রফতানি করা হয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন