শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
ছবি-ভোমরিয়া ঘোনা থেকে তোলা।
।।ওয়াহিদ রুবেল।।
বিকেল তখন চারটার কাছাকাছি। বেশ কয়েকজন যুবক পাহাড় থেকে গর্জন গাছের একখন্ড গাছ গাড়িতে তুলছেন। কাছে গিয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, বিট কর্মকর্তারা গাছটি তাদের কাছে বিক্রি করেছেন। পরে একটি টমটম গাড়িতে করে তারা গাছটি নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁও রেঞ্জ ও ভোমরিয়াঘোনা বিট কর্মকর্তারা প্রায় সময় শতবর্ষী গর্জন গাছ বিক্রি করেন। আর মধ্যস্ততা করেন বিটের ভিলেজার। বিক্রিত গাছের ভাগের অংশ পান বিভাগীয় বনকর্মকর্তা। এ অবস্থা চলতে থাকলে দ্রুতই ধ্বংস হয়ে যাবে শতবর্ষী গর্জন বাগানটি।
ভোমরিয়াঘোনা বিট কর্মকর্তা মংইউ চাকমা বলেন, রাতের আধারে একটি গর্জন গাছ কাটেন চোরের দল। খবর পেয়ে আমরা গাছটি জব্দ করি। সকালে গাছটি বিট অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। গর্জন গাছের একটি অংশ যুবকদের হাতে কিভাবে আসলো জানতে চাইলে তিনি এ ধরনের কোন গাছ তাদের হাতে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এটা আমি বলতে পারবো না।
তবে বরাবরের মতোই অভিযোগ অস্বীকার করছেন বিট কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঈদগাঁও রেঞ্জের কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন খান বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। তবে সোমবার রাতে একটি গর্জন গাছ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জেনেছি। তবে গাছ বিক্রির বিষয়ে তিনি অবগত নয়। গাছ কাটার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা গেলে মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পর্বর্তীতে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক প্রান্তোষ চন্দ্র রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বনবিভাগের কোন কর্মকর্তার গাছ বিক্রির সুযোগ নাই। গাছ কাটা বা বিক্রির বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান।
মন্তব্য করুন