বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন

তমব্রু সীমান্তে চলছে গোলাগুলি; নিহত-২; জিরো পয়েন্ট ক্যাম্পে আগুন

তমব্রু সীমান্তে চলছে গোলাগুলি; নিহত-২; জিরো পয়েন্ট ক্যাম্পে আগুন

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ফাইল ছবি।

 

 

।।ওয়াহিদ রুবেল।।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দুই সশস্ত্র গ্রæপের গোলাগুলিতে দুই যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে হাসপাতালে নেয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়। আরেকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানে থেমে থেমে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। সন্ধ্যায় জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত ব্যক্তির নাম হামিদ উল্লাহ ও মুহিব উল্লাহ। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মল আলী তাদের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘুমধুম এলাকার সমাজ সেবক মো: জাহাঙ্গীর আলম রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে বলেন, প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরসা’ এবং ‘আরএসও’ এর মধ্যে শুণ্য রেখায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

উখিয়া থানার ওসি বলেন, আহত অবস্থায় তুমব্রæ সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে দুজনকে উদ্ধার করে কুতুপালং ক্যাম্পের পাশে এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হামিদ উল্লাহকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুহিব উল্লাহও নিহত হন।

তবে কি কারণে বা কেন তারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা এখনও বলা যাচ্ছে না। দুজনের শরীরে বিশেষ রংয়ের পোশাক রয়েছে। তারা মিয়ানমারের কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সকাল থেকে শূন্যরেখায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। কি হচ্ছে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। হয়তো মিয়ানমারের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে।

এরআগে বুধবার সকাল ৬টার পর থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ার নামক স্থানের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যেহেতু ঘটনাটি শুণ্য রেখায় সেহেতু বিজিবির হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই। তারপরও আমাদের বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে বিজিবি ৩৪-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল ধরেননি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM