বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ অপরাহ্ন
নাই টেলিফোন, নাইরে পিয়ন, নাইরে টেলিগ্রাম, বন্ধুর কাছে মনের খবর কেমনে পৌঁছাইতাম। বর্তমান প্রজন্ম এ গানের অর্থ খুঁজে না পেলেও আগেকার দিনের মানুষের মনে আজও দোলা দেয় এ গান। বর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজ যোগাযোগ বিশ্বকে হাতের মুঠোয় পেয়ে আগেকার দিনের টেলিফোনের গুরুত্বের কথা আজ অনেকেই ভুলে যেতে বসেছেন। ফলে অনেক বাসাবাড়ির টেলিফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে অনেক আগেই। ওইসব বাড়ির একসময়ের গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোন সেট এখন স্টোর রুমের কোন বস্তায় ভরা রয়েছে, তা খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। বর্তমানের বহুল ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ভাবনের ধারণা টেলিফোন থেকেই এসেছে। তবে প্রতিটি সরকারী অফিসে এখনও টেলিফোন লাইন থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা ব্যক্তিগত কাজেই বেশি ব্যবহৃত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল নগরীসহ জেলার দশটি উপজেলার সরকারী, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রায় সহস্রাধিক টেলিফোন এখন ব্যবহার করছে মোবাইল ফোন মালিকরা।
টেলিফোন, দূরভাষ বা দূরালাপনী একটি যোগাযোগ মাধ্যম। তারের মাধ্যমে কয়েক গজ থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য টেলিফোন ছিল এক অভিনব যন্ত্র। বর্তমানে এর অনেক উন্নতি হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে। অথচ একসময়ে সহজ যোগাযোগের ক্ষেত্রে টেলিফোনই ছিল একমাত্র মাধ্যম। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের আবিষ্কার। বেল এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন যে টেলিফোন, সেটিকেই তিনি এক উটকো ঝামেলা হিসেবে দেখতেন। এজন্য তিনি নিজের গবেষণা ও অধ্যয়ন কক্ষে টেলিফোন রাখতেন না। ১৯২২ সালের ২ আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে কানাডার বাইন ব্রেঘের নোভা স্কটিয়ায় বসে বেলের মৃত্যুর পর আমেরিকার সকল টেলিফোনে এক মিনিটের জন্য অবিরাম রিং বাজানো হয়। মার্কিন প্রশাসনের ভাষ্যমতে যে মহান ব্যক্তি মানুষে-মানুষে যোগাযোগের এ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তাকে উপযুক্ত সম্মান দেখানোর জন্যই এমনটি করা হয়েছিল। আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৪৭ সালের ৩ মার্চ তার মা এলিজা গ্রেইস সাইমন্ডস্ বেলের গর্ভে স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলেকজান্ডার মেলভিল বেল।
-খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল থেকে
মন্তব্য করুন