শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন

স্ত্রীর জন্য সাধ্যমতো ব্যয় করবে

স্ত্রীর জন্য সাধ্যমতো ব্যয় করবে

অনলাইন বিজ্ঞাপন

 

 

মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

 

স্ত্রীর ভরণ-পোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব স্বামীর। আল্লাহ বলেন, ‘সচ্ছল ব্যক্তি তার সচ্ছলতা অনুসারে ব্যয় করবে। আর যার রিজিক সীমিত করা হয়েছে, সে ব্যয় করবে আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তা থেকে। আল্লাহ যাকে যতটা দিয়েছেন তার অতিরিক্ত বোঝা তার ওপর চাপান না।

আল্লাহ কষ্টের পর সহজ করে দেবেন। ’ (সুরা তালা, আয়াত : ৭)

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর জন্মদাতা পিতার দায়িত্ব হলো ন্যায়সংগতভাবে প্রসূতি মায়েদের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৩৩)

ব্যক্তির উপার্জিত অর্থে সবচেয়ে বেশি অধিকার নিজের ও পরিবারের। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের কাউকে যখন আল্লাহ কল্যাণ (সম্পদ) দান করেন তখন সে নিজের এবং তার পরিবারের লোকজনকে দিয়ে (ব্যয়) শুরু করবে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮২২)

কারো সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সে যদি তার পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করতে কৃপণতা করে তাহলে সে পাপী হবে। খায়সামা (রা.) বলেন, একবার আমি আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা.)-এর সঙ্গে বসা ছিলাম, এমন সময় তার কোষাধ্যক্ষ এলেন। তিনি বলেন, তুমি কি গোলামদের খাবার ব্যবস্থা করেছ? তিনি বলেন, না। অতঃপর তিনি বলেন, তুমি গিয়ে তাদের খাবার দিয়ে আসো। বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যাদের ভরণ-পোষণ করা, ব্যায়ভার বহন করা কর্তব্য তা না করে আটকে রাখাই কোনো ব্যক্তির গুনাহগার হওয়ার জন্য যথেষ্ট। (মুসলিম, হাদিস : ২২০২)

এ ধরনের লোককে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক দায়িত্বশীলকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। সে তা সংরক্ষণ করেছে, না তাতে অবহেলা করেছে? এমনকি পুরুষকে তার স্ত্রী (পরিবার-পরিজন) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। ’ (নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা, হাদিস : ৯১৭৪)

পক্ষান্তরে পরিবারের জন্য খরচকৃত অর্থের ফজিলত অনেক বেশি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘উত্তম হলো ওই দিনার, যা কোনো ব্যক্তি তার পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৯৯৪)

আর পরিবারের জন্য খরচ করা অর্থ সদকার অন্তর্ভুক্ত হবে, অর্থাৎ এর মাধ্যমেও সদকার সওয়াব পাওয়া যাবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি স্বীয় পরিবার-পরিজনের জন্য পুণ্যের আশায় যখন ব্যয় করে তখন সেটা তার জন্য সদকা হয়ে যায়। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫৫)

এমনকি কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীকে যে পানি পান করায় তার জন্যও নেকি আছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই কোনো ব্যক্তি যখন তার স্ত্রীকে পানি পান করায় তখন সে তার বিনিময়ে সওয়াব পায়। ’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ১০১৩২)। স্বামী সাধ্যমতো স্ত্রীকে পোশাক-পরিচ্ছদ দেবে। এটি স্ত্রীর অধিকার। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আর তোমাদের ওপর তাদের অধিকার এই যে তোমরা (যথাসম্ভব) তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ ও আহারের সুব্যবস্থা করবে। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ১১৬৩)

মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন

সূত্র-কালেরকণ্ঠ


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM