শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

মার্তিনেসের হাতেই গোল্ডেন গ্লাভস

মার্তিনেসের হাতেই গোল্ডেন গ্লাভস

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ছবি-সংগ্রহীত।

 

 

প্রথমে ফুরাল কোপা আমেরিকার শিরোপার অপেক্ষা। ২৪ বছর পর ব্রাজিলে লিওনেল মেসিদের সেই শিরোপা জয়েও ছিল তাঁর বিশ্বস্ত হাতজোড়া। কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল টাইব্রেকারে এমিলিয়ানো মার্তিনেস বীরত্বেই তো ফাইনালে উঠে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। এই বিশ্বকাপে গতকালের ফাইনালের আগেও আরো একবার ত্রাতা হয়েছেন, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে।

কাল ফাইনালের শেষটা যখন পেন্ডুলামের মতো দুলে দুলে টাইব্রেকারে গড়াল, মার্তিনেস দৃঢ় থাকলেন সেই আগের মতো। কিংসলে কোমানের নেওয়া ফ্রান্সের দ্বিতীয় শটটাই ফিরিয়ে দিয়ে জানাল দিলেন শিরোপার মঞ্চেও পার্থক্য গড়ে দিতে চলেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাই হলো, মার্তিনেসের সামনে অহেলিয়ান চুয়ামেনি পরের শটটা পোস্টেই রাখতে পারলেন না। সেই টাইব্রেকারেই ফুরাল আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের অপেক্ষা। অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়েরও যোগ করা সময়ে ম্যাচ যখন ৩-৩, তখন কোলো মুয়ানির শটে দুর্দান্ত সেভ করে আর্জেন্টিনাকে হার থেকে বাঁচিয়ে তিনিই তো ম্যাচ নিয়ে গেছেন। এরপর সেই পারফরম্যান্স। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ তাঁর হাতে না উঠে মানায়! উঠেছে তাই। মঞ্চে সেই পুরস্কার হাতে নিয়েই ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, এই অর্জন সমগ্র আর্জেন্টাইনদের জন্য। এর আগে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েও বলেছিলেন, অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে থাকা আর্জেন্টিনার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই তাঁরা লড়েছেন। কাল গোল্ডেন গ্লাভসের সঙ্গে বিশ্বকাপ ট্রফিও উঁচিয়ে ধরে বলেছেন, ‘এটাই ছিল আমাদের গন্তব্য।

বিশ্বকাপ শিরোপার জন্য মেসি বাহিনীর যে অক্লান্ত লড়াই ছিল, কাল তারই পূর্ণতা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের পর আলবিসেলেস্তের নতুন করে বিশ্বকাপ অভিযানে মেসির সঙ্গে যে কয়েকজন খেলোয়াড় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন তাঁরই একজন গ্লাভস হাতে তেকাঠির নিচে দাঁড়ানো মার্তিনেস। কাল শিরোপাজয়ে দেখিয়েছেন মিথ্যা আশ্বাস ছিল না সেটি। মার্তিনেস জানিয়েছেন তাঁরও আর চাওয়ার কিছু বাকি থাকল না, ‘যা যা চাওয়া ছিল আজ সব পূর্ণ হলো আমার। আমার মুখের ভাষা নেই এই আনন্দ বোঝাব। ’ ফাইনালটা নিয়ে বলছিলেন, ‘ওরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা কঠিন করে তুলেছিল আমাদের জন্য। তবে এটাও আমাদের নিয়তি ছিল যে, এভাবে কষ্ট করেই আমরা আমাদের আরাধ্যটা ছোঁব।

১৮ বছর বয়সে ক্যারিয়ার গড়তে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন। আর্সেনালের যুব দলে শুরু করেন। এরপর একের পর এক ক্লাব বদলে অ্যাস্টন ভিলায়। তবে ক্লাব ফুটবলে নিজেকে চেনানোর আগে আর্জেন্টিনা দলেই নিজেকে মেলে ধরেছেন। লিওনেল স্কালোনির এই দলেই তারকা হয়ে ওঠা মার্তিনেসের। গত বছর কোপা জিতিয়ে এ বছর বিশ্বকাপ, গোল্ডেন গ্লাভস। মার্তিনেসের সাফল্যের পথটা তাই আর কারো নয়। কাল শিরোপা উৎসবের মাঝে আর্জেন্টিনায় থাকা পরিবারকেও জয়টা উৎসর্গ করেছেন তিনি, ‘অল্প বয়সে পরিবার ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলাম। আমার ক্যারিয়ারে তাঁদেরও ত্যাগ অনেক। আজ এই জয়টা তাই আমার পরিবারকেও উৎসর্গ করছি।

সূত্র-কালেরকণ্ঠ


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM