রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
চকরিয়া প্রতিনিধি
নিজের পৈত্রিক ভিটার মাটি কাটার সময় পাওয়া গুপ্তধন প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের কথা বলায় পিটিয়ে স্ব-পরিবারে বাড়িছাড়া করার পর এখন চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী গ্রামে ভাড়া বাসায় দিনাতিপাত করছেন জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের তিতা মাঝিরপাড়ার হাজি বুদা মিয়ার ছেলে শফি আলম। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলমের কাছে আপন তিন ভাই ও তাদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী শফি আলম। অভিযোগে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাসে শফি আলমের পৈত্রিক বসতভিটার মাটি কাটা সময় গুপ্তধন (স্বর্ণের ডেকসি) পান মাতারবাড়ি ইউনিয়নের তিতামাঝির পাড়ার হাজি বুদা মিয়ার চার ছেলে আবদুল গফুর, আবদুর রশিদ, আবদু শুক্কুর ও অভিযোগের বাদী শফি আলম। মাটি কুঁড়ে পাওয়া গুপ্তধনটি পরবর্তীতে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের কথা বলায় অন্য তিন ভাই ও তাদের স্ত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে গত ৩০ অক্টোবর দুপুরে শফি আলম, স্ত্রী নুর নাহার বেগম, দুই সন্তান মো. আশেক ও উম্মে হাবিবাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এই অবস্থায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। এর পর চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরতে চাইলে আবারো প্রাণে হত্যার হুমকি দিলে দ্বারস্থ হন মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তিন ভাই ও তাদের স্ত্রীরা। কিন্তু অসুস্থ বাবা হাজি বদু মিয়াকে বাড়িতে দেখতে গেলে এই সুযোগে ফের গত ১৪ নভেম্বর দুপুর বারোটার দিকে আবারো হামলায় চালায় তাদের ওপর। অভিযোগের বাদী ভূক্তভোগী শফি আলম বলেন, ‘আমার পৈত্রিক ভিটায় মাটি কাটার সময় গুপ্তধন পাওয়ার পর এলাকার লোকজনের মাঝে জানাজানি হয়। এ সময় মাটির কুুঁড়ে পাওয়া গুপ্তধনটি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করার কথা বললে আমার অন্য তিন ভাই ও তাদের স্ত্রীরা মিলে আমাকে এবং আমার স্ত্রী-সন্তানদের বেধড়ক পিটিয়ে গুরতর আহত করে বাড়িছাড়া করে। কয়েকদিন আগে অসুস্থ বাবাকে বাড়িতে দেখতে গেলেও আবারও আমাদের পেটায় তারা। তাই আমি যাতে স্ব-পরিবারে বাড়ি ফিরতে পারি এবং এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’শফি আলম দাবি করেন, মাটি কুঁড়ে পাওয়া গুপ্তধন (স্বর্ণের ডেকসি) তিন ভাই আত্মসাত করে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। এমনকি এক ভাই চকরিয়া পৌরশহরের ইউনিক হাসপাতালের শেয়ারদারও। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোর তদন্ত করলে গুপ্তধন পাওয়ার বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।’
মন্তব্য করুন