আলোকিত কক্সবাজার ।। সংবাদটি প্রকাশিত হয়ঃ ২০২২-১১-২৬ ১৮:৫৯:৫২
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তে ‘মাদক বিরোধী অভিযানকালে’ সন্ত্রাসীদের গুলিতে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) এক কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় আরো ৬৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ৬৫ জনকে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনিকে।
ঘুমধুম পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. সোহাগ রানা বিকেলে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করলেও মামলাটি দায়ের হয় ২৩ নভেম্বর বুধবার।
মামলার প্রধান আসামিসহ অন্য সব আসামি মিয়ানমারের নাগরিক এবং তারা অধিকাংশই উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করে বলে জানান তিনি।
পরিদর্শক সোহাগ রানা বলেন, গত ১৪ নভেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ায় র্যাবের উপর হামলা চালিয়ে এক সামরিক কর্মকর্তাসহ দুইজন নিহত এবং এক র্যাব সদস্য আহতের ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা হয়েছে। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ৬৫ জনকে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা প্রধান আসামি করা হয়েছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্টি আরসার প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনিকে। মামলার সব আসামি মিয়ানমারের নাগরিক এবং তারা অধিকাংশই কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করেন।
পরিদর্শক বলেন, মামলাটি নথিভূক্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ তদন্তকাজ অব্যাহত রেখেছে। আসামিদের শনাক্ত ও অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।
মামলার কোন আসামি এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানান মো. সোহাগ রানা।
উল্লেখ্য, গেল ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ায় ‘মাদক বিরোধী অভিযানকালে ‘চোরাচালানিদের’ সঙ্গে সংঘর্ষে সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা ও শূণ্যরেখার ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা নারী নিহত এবং র্যাবের এক সদস্য আহত হন।