শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
কক্সবাজারে পেকুয়ায় কলেজ শিক্ষক ফরহদা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। রায়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আসামী ছোটনকে ফাঁসি এবং তার স্ত্রী লিপিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন। একই সাথে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে ১০ লাখ টাকা জরিমনা এবং অনাদায়ে আরো ৫ বছর এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া গৃহবধূকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ রায় দেয়। এ সময় আসামীরা পালাতক ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামী হলেন, পেকুয়া সদরের সিকদার পাড়া মৃত মৌলরভী নুর আহম্মদের ছেলে ছালেহ জঙ্গি প্রকাশ ছোটন এবং তার আসমা উল হুসনা লিপি।
অতিরিক্ত পিপি মোজফ্ফর আহমদ হেলালী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পেকুয়ার কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলাটি সাক্ষীদের সাক্ষ্য শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত এ রায় দেন। মামলার শুরু থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত আসামীরা পালাতক ছিলেন বলেও জানান তিনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের পেকুয়া সদরের সিকদার পাড়া মৃত মৌলরভী নুর আহম্মদের ছেলে ছালেহ জঙ্গি প্রকাশ ছোটন এর সাথে ২০১৫ সালের ৬ মে পার্শ্ববর্তী মো: ইউনুচের ছেলে কলেজ শিক্ষক ফরহাদের বৈদ্যুতিক তার সংযোগ নিয়ে কলহ সৃষ্টি হয়। তাদের কলহটি এক পর্যায়ে মারামারিতে রুপ নেয়। এ সময় ছোটনের বাড়ি থাকা বন্দুক দিয়ে ফরহাদকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান ফরহাদ। এ ঘটনায় নিহত ফরহারেদ পিতা ইউনুচ বাদী হয়ে ৬ জনের নামে পেকুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার জিআর নং-৮৭/১৫। এসটি ২৮৬/১৯। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ছোটন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ না পেয়ে এজাহারে থাকা চার আসামীকে বাদ দেয়া হয়। তবে চার্জগঠনের সময় বিজ্ঞ আদালত এজাহারে থাকা ৬ জনের বিরুদ্ধেই চার্জ গঠন করেন। বাদীসহ মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ স্বামী ছোটনকে ফাঁসি ও স্ত্রী লিপিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়।
মন্তব্য করুন