বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

ত্বরিত গতিতে উত্থান এই আইএসএ’র

ত্বরিত গতিতে উত্থান এই আইএসএ’র

অনলাইন বিজ্ঞাপন

আন্তর্জাতিক ডেক্স

প্যারিসের ৬ জায়গায় ধারাবাহিক হামলা। দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু। শোকে মুহ্যমান ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ফ্রাসোয়াঁ ওলাঁদে জানিয়ে দিলেন এই কাজ আই এস জঙ্গিদের। আইএসও হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে জানিয়ে দেয়, এখনকার সিরিয়া নীতি থেকে সরে না এলে ফ্রান্স তাদের ‘আক্রমণের লক্ষ্য’ থেকে যাবে। অর্থাৎ, সোজা কথায় আবারও ফ্রান্সে হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে রাখল আই এস। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফ্রান্স এবং তাদের মত যারা অনুসরণ করবে তারাই আই এসের আক্রমণের মুখে পড়বে।’ আল কায়দায় পর সব থেকে বেশি আলোচিত সংগঠনের নাম আই এস। ত্বরিত গতিতে উত্থান এই আই এসের। ২০১৪ সালের সিরিয়া এবং ইরাকের একটা বড় অংশ দখল করে নিলে শিরোনামে চলে আসে আই এস। গণহত্যা, অপহরণ, শিরশ্ছেদ জলভাত আই এসের কাছে। মুসলিম বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই সংগঠন। আর মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট আইএসকে খতম করতে বদ্ধপরিকর। সঙ্কট তাই ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। ২০১৪ সালের জুন। পবিত্র ‘ক্যালিফেট’ দেশ গঠনের কথা ঘোষণা করে আইএস। যেখানে ইসলামিক আইন ‘শরিয়ত’ চালু করা হবে। এর শাসনকর্তা হবেন, আল্লাহর সহকারী পৃথিবীর প্রতিনিধি ‘খলিফা’। বিশ্বের মুসলিমদের কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁদের শাসনকর্তা আবু বকর আল বাগদাদির নামে আনুগত্যের শপথ নিতে বলা হয়। তার পর তাদের অধিকৃত অঞ্চলে চলে আসার আহ্বান জানানো হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিহাদি সংগঠনগুলোকে তাদের আনুগত্য মেনে নিতে বলা হয়। ইতিমধ্যে হীনবল আল কায়দার নানা শাখা সংগঠন আই এসের বশ্যতা স্বীকার করে। পৃথিবীতে আল্লাহর নীতি চালুর বিপক্ষে যারা তাদের নির্মূল করার হুমকি দিয়েছে সংগঠন। মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষার কথা জানায় সংগঠন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট আই এসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। মার্কিন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আই এস। কেন না তাদের মতে, ইসলামে আগেই এই যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। তবে আই এস মনে করে সংগঠনের পত্তন হয়েছে ২০০২ সালে জর্ডনে নিহত আবু মুসাব আল জারকোয়াই–এর হাতে। জারকোয়াই ওসামা বিন লাদেনের সহকারী ছিলেন। তিনি ইরাকে আল কায়দা (এ কিউ আই) প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৬ সালে জারকোয়াইয়ের মৃত্যুর পর ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক (আই এস আই) গঠন করে তার অনুগামীরা। মার্কিন আক্রমণে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে সংগঠন। ২০১০ সালে মার্কিন জেল–ফেরত বাগদাদি সংগঠনের নেতা নির্বাচিত হন। ঘুরে দাঁড়ায় আই এস। ২০১৩ সালে ইরাকে একাধিক প্রাণঘাতী আক্রমণ শানায় আই এস। সে সময় প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ বিরোধী যে আন্দোলন চলছিল তা সমর্থন করে আই এস। সেই বছরই সাদ্দাম হুসেেনর অনুগামীদের সমর্থন নিয়ে ফালুজা দখল করে আই এস। এর পর একের পর এক এলাকা দখল করে আই এস। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন সন্ত্রাস বিরোধী সংস্থা এন সি টি সি–র ডিরেক্টর ম্যাথিউ ওলসেন জানান টাইগ্রিস–ইউফ্রেটিস অববাহিকার বেশিরভাগ এলাকা দখল করে নিয়েছে আই এস। তাদের অধিকৃত এলাকার পরিমাণ ২ লক্ষ ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। যা গ্রেট ব্রিটেনের আয়তনের প্রায় সমান। সূত্র: আজকাল


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM