মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন

ক্রেতা বেশি, বিক্রি কম উখিয়ায় দেশী গরুতে ভরপুর কোরবানির হাট

ক্রেতা বেশি, বিক্রি কম উখিয়ায় দেশী গরুতে ভরপুর কোরবানির হাট

অনলাইন বিজ্ঞাপন

কমরুদ্দিন মুকুল, উখিয়া
ঈদুল আযহা উপলক্ষে উখিয়ার গ্রামগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর বাজার। এবারের কোরবানির বাজারে প্রচুর দেশী গরুর সমাগম হলেও বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলকভাবে কম। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি বন্ধের খবরে গরু সংকটের গুজব আশংকা করা হলেও বাস্তবে তা নেই। গৃহপালিত গরু হাট-বাজার সয়লাব হয়েছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গরুর দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় বেড়েছে। যে কারণে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা বেশি হলেও সমপরিমাণ গরু বিক্রি হচ্ছে না। তবে দাম বেশি আর কম হউক, আগামী বাজারে তুমুল বেচা-কেনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
সরকারিভাবে এ উপজেলায় উখিয়া গরুর বাজার ও মরিচ্যা বাজার পশুর বাজার হিসাবে এলাকায় বেশ পরিচিত। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে এ দুটি বাজারে লোকজন ছুটে আসে পশু কেনার জন্য। কোরবানির ঈদ বাজারকে সামনে রেখে বর্তমানে উখিয়ার গ্রামগঞ্জে ৭/৮টি পশুর হাট বসেছে। পালংখালী পশুর বাজার ঘুরে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে ভারত ও মিয়ানমারের গরু নেই। স্থানীয় কৃষকদের পালিত গরু বাজারজাত হচ্ছে। চাহিদা অনুপাতে গরু উঠলেও দাম বেশি হওয়ার কারণে বিক্রি হচ্ছে কম।
নলবনিয়া গ্রামের উলা মিয়ার গরুটির দাম চাওয়া হচ্ছে ৬০ হাজার টাকা। তিনি জানান, তার গরুতে ৩ মণ পর্যন্ত মাংস হবে। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছরে এ সাইজের গরু বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ হাজার টাকায়।
গয়ালমারা গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুছ বাবুল জানায়, কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য দীর্ঘ দিন ধরে লালন পালন করেছেন তার গরুটি। তার গরুতে আনুমানিক ৬ মণ মাংস হবে। দাম চাওয়া হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
একাধিক ক্রেতারা জানান, আগামী বাজারে দাম একটু কমতে পারে। এভাবে দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা মনে করে বৃহত্তর ক্রেতা সাধারণ বাজার ঘুরে ঘুরে গরু দেখলেও কিনছে না।
বাজারের ইজারাদার আবুল মনজুর জানান, এখানে মিয়ানমারের অথবা ভারতের কোন গরু নেই। যেসব গরু বাজারে এসেছে তা স্থানীয়ভাবে গৃহপালিত। কৃষকেরা দাম পাওয়ার আশায় এসব গরু লালন পালন করেছে। তিনি জানান, এ বাজারে গরু বিক্রয় করে ক্রেতা-বিক্রেতারা সহনীয় পর্যায়ে টোল দিতে পারার সুযোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে এ বাজারে গরু আসছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, জনস্বার্থে ও স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করার জন্য বিভিন্ন স্থানে গরুর বাজার বসার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে জনদুর্ভোগ পোহাতে হয় এমন কোন স্থানে গরুর বাজার না বসাতে অনুরেধ করেন তিনি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM