ছবি-আটক ফটোগ্রাফার ইউনুস।
ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে পর্যটক হয়রানির অভিযোগে ইউনুস নামে এক ফটোগ্রাফারকে আটক করা ট্যুরিস্ট পুলিশ। রবিবার (১৭ জুলাই) সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
আটক ফটোগ্রাফারের নাম ইউনুস। তার ফটোগ্রাফ পোশাক নম্বর ৫৯২।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে থেকে শুরু করে হিমছড়ি, দরিয়ানগর, ইনানীসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ফটোগ্রাফারদের হাতে পর্যটক হয়রানির অভিযোগ অনেক আগের। সংশ্লিষ্টদের উদাসিনতায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে ফটোগ্রাফাররা। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরুপ প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন অনেক পর্যটক। তবে এ নিয়ে পর্যটকরা অভিযোগ না করায় কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া যেতনা বলে দাবি করেছেন জেলা প্রশাসন।
সর্বশেষ এক পর্যটকের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ রবিবার সকালে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইউনুস নামে এক ফটোগ্রাফারকে আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, শনিবার (১৬ জুলাই) আমাদের সরকারি নাম্বারের হোয়াটসঅ্যাপে একজন ভুক্তভোগী হয়রানির কথা জানিয়ে একটি অভিযোগ পাঠান। সঙ্গে সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিমকে অভিযুক্ত ফটোগ্রাফারকে জার্সি নম্বর অনুযায়ী খুঁজে বের করতে পাঠানো হয়। ঐদিন তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও রোববার সকালে তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।
ভুক্তভোগী পর্যটক মো. সিফাত মাহমুদ বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সুগন্ধা সৈকতে যাই। ওখানে এক ক্যামেরাম্যান অনেক অনুরোধ করে ছবি তোলার জন্য। এরপর আমরা কয়েকটা ছবি তুলি। কথা ছিল সব মিলে ৩০/৪০টা ছবি আমরা নেবো। কিন্তু সে ২৫০টা ছবি তোলে এবং বিল করে ৮০০ টাকা। যখন আমি অতিরিক্ত ছবি নিতে অস্বীকৃতি জানাই তখন ওই ফটোগ্রাফার হুমকি ধামকি দিতে শুরু করে। তখন আমি বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে চলে আসি। পরে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘ফটোগ্রাফারদের লাইসেন্স দেয় মূলত জেলা প্রশাসন। আমাদের কাছে কোনো ডাটাবেজ থাকে না। যার কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। আমরা ডাটাবেজ করার উদ্যোগ নিয়েছি। খুব শিগগিরি ডাটাবেজের কাজ শেষ হবে। একই সাথে পর্যটক হয়রানি বন্ধ করতে ফটোগ্রাফারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা কররো।
কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা ট্যুরিস্টদের হয়রানি বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নিতে আহবান জানান তিনি।