বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় এ বৃদ্ধের করুন মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে সকালে কাকারা বনবিট অফিসের কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গিয়ে আর ফিরে আসেন নি নিহত বৃদ্ধ।
নিহত ব্যক্তির নাম আবদুর রশিদ (৮২)।
তিনি উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মানিকপুর কাশেম হুজুরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
সুরাজপুর মানিক পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, বৃদ্ধ রশিদ আহমদ কাকারা বিট বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকালে ঘর থেকে বের হন। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাকারা বিট অফিসের সামনে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে পুলিশকে খবর দেয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। বৃদ্ধের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান।
নিহতের ছেলে মোহাম্মদ মিরাজ বলেন, আমাদের জায়গায় গরুর গোয়ালঘর নির্মাণ করছিলাম। কয়েকদিন আগে কাকারা বনবিটের লোকজন সেখানে গিয়ে কাজে বাধা দেয়। এ বিষয়ে কথা বলতে আমার বাবাকে কাকারা বিট অফিসে যেতে বলেন।
কথামতো মঙ্গলবার সকালে বাবা মানিকপুর বাড়ি থেকে সিএনজি গাড়িতে করে কাকারা বিট অফিসের সামনে নামে। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানতে পারি কাকারা বিট অফিসের সামনে রাস্তার পাশে তিনি অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন। ওইসময় স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার উনাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
তার ধারণা, তাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল বলেও জানান।
কাকারা বনবিট কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আমি অফিস থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে বের হই। ওইসময় অফিসের সামনে পৌঁছে আবদুর রশিদ নামের ওই মুরব্বীর সঙ্গে দেখা হয়, তার ভাতিজার (আমাদের বনবিভাগের কর্মকর্তা) পরিচয় দিলে তাকে সালাম দিয়ে কথা বলি।
তিনি বলেন, মাত্র এক মিনিট কথা বলে আমি মোটরসাইকেল চালিয়ে মানিকপুর বাগানে চলে যাই। আর মুরব্বীকে বলি আপনি চলে যান, আপনার বিষয়টি বিস্তারিত জেনে পরে জানাবো। পরে শুনেছি, তিনি রাস্তায় পড়েছিলেন, সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, বৃদ্ধের মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি।
মন্তব্য করুন