বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

চকরিয়ার ৩০ মাঝি-মাল্লা নিয়ে একটি ফিশিং বোট নিখোঁজ

চকরিয়ার ৩০ মাঝি-মাল্লা নিয়ে একটি ফিশিং বোট নিখোঁজ

অনলাইন বিজ্ঞাপন

মনজুর আলম চকরিয়া॥

কক্সবাজারের চকরিয়া-মহেশখালী নৌ-চ্যানেল হয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন ৩০জন মাঝি-মল্লাহ। ‘এফবি সাঈদ হোসেন’ নামের একটি ফিশিং বোট নিয়ে সাগরে মাঝ ধরেতে গিয়ে তারা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বোটের মালিক।
এতে নিখোঁজ মাঝি-মাল্লার পরিবারে কান্নার রোল পড়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বোট মালিকের পক্ষ থেকে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং-৪৭২) রুজু করেছেন।
গত ৫ নভেম্বর চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী জেটি ঘাট থেকে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ফিশিং বোটটি।
নিখোঁজ ৩০ মাঝি-মাল্লার মধ্যে সবার পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন, বোটের মাঝি চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের শাহ আলমের পুত্র মোহাম্মদ হাসান (৪০), ফিশিং বোট চালক বাদশা মিয়া (৪৫) ও মোহাম্মদ ফারুক (৩২), বাবুর্চি আবদুল মান্নান (৩৫), আবু হানিফ (৪১), দিল মোহাম্মদ (৩২), মো. ইলিয়াছ (২৮), মোজাম্মেল হক। তবে অন্য মাল্লাদের (জেলে) নাম জানাতে পারেনি বোট মালিক সেলিম উদ্দিন।
বোট ‘এফবি সাঈদ হোসেন’র মালিক ব্যবসায়ী সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর তার মালিকানাধিন বোটটি বদরখালী জেটিঘাট থেকে গভীর সমুদ্রে মাঝ ধরতে যায়।
সাগরে থাকা অবস্থায় দুইদিন একাধিকবার বোটের মাঝির সঙ্গে কথা হয়েছে। তৃতীয়দিন থেকে বোটের মাঝির সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এতে ধারণা করছি গভীর সমুদ্রে গতিপথ হারিয়ে ফিশিং বোটটি নিখোঁজ রয়েছে। আমি এ ব্যাপারে নৌ-বাহিনী ও কোষ্টগার্ডের আন্তরিক সহায়তা কামনা করছি।
কোষ্টগার্ড মহেশখালী পূর্বজোনের (বদরখালী) কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো: জহিরুল হক বলেন, ‘মাছ ধরতে গিয়ে ‘এফবি সাঈদ হোসেন’ নামের একটি ফিশিং বোটটি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানতে পেরে ইতিমধ্যে সম্ভাব্য বিভিন্ন এলাকা ও দপ্তরে বার্তা পাঠানো হয়েছে। আমরা ফিশিং বোটসহ তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM