মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী গড়তে মহাপরিকল্পনা

কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী গড়তে মহাপরিকল্পনা

অনলাইন বিজ্ঞাপন

আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স॥

পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে সরকার।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাতে দশম জাতীয় সংসদে ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৫’ নামে একটি বিল উত্থাপন করা হয়।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বিলটি উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

বিলে বলা হয়, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন নগরী কক্সবাজার ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে বহুল পরিচিতি পেয়েছে। একটি আধুনিক ও উন্নতমানের পর্যটন নগরী গড়ে তুলতে কক্সবাজারের আবাসন, হোটেল, মোটেল, রাস্তাসহ অন্যান্য সব নাগরিক ও পর্যটন সুবিধা পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো প্রয়োজন।

‘এছাড়া কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণ ও পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়তে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিতে ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা দরকার।’

আইনটি কার্যকর হওয়ার পর ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে বলে ওই বিলে উল্লেখ করা হয়।

বিলে আরও বলা হয়, এই কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন ১৫ জন। এদের চারজন হবেন পূর্ণকালীন আর ১১ জন খণ্ডকালীন।

একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পূর্ণকালীন সদস্যদের মধ্যে একজন প্রশাসন ও অর্থ, একজন প্রকৌশল এবং একজন পরিকল্পনা বিভাগের দেখভাল করবেন।

সদস্য থাকবেন ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্থাপত্য অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর, কক্সবাজার শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিরা।

এছাড়া চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র সদস্য হবেন।

তিনজন বিশিষ্ট নাগরিকও কর্তৃপক্ষের খণ্ডকালীন সদস্য থাকবেন। এরমধ্যে একজন হবেন নারী।

বিলে বলা হয়, এই কর্তৃপক্ষ পর্যটন নগরী গড়তে সমীক্ষা, জরিপ, মাস্টার প্ল্যান এবং নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।

কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার বিষয়ে বিলে বলা হয়েছে, কেউ যাতে মাস্টার প্ল্যান পরিপন্থি কাজ না করে সেজন্য কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে।

এ আইন কার্যকর হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের ইমারত, রাস্তাঘাট নির্মাণ, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ বা বাস্তবায়ন করতে পারবে না।

এছাড়া নির্মাণাধীন ভবন, জলাধার খনন, পাহাড় কাটা ইত্যাদি স্থগিত বা বন্ধ করার আদেশ দিতে পারবে কর্তৃপক্ষ।

এ আদেশ অমান্য করলে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা রয়েছে ওই বিলে।

এতে বলা হয়, এ আইনের আওতায় সংঘটিত অপরাধ প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচার কাজ পরিচালনা করবেন।
এক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এখতিয়ারও রাখা হয়েছে।

পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিল উত্থাপন
অধিবেশনে একই দিন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন আইন-২০১৫ নামে আরও একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি উত্থাপনের পর তা সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলানিউজ


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM