শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন
আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স:
ইভটিজারদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দিলেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার।
তিনি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘পুলিশ পারে না এমন কোন কাজ নেই। পুলিশ যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন তবে জেলা জজ হিসাবে আমি আমার বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে বাধ্য হবো। তখন কারো কিছু বলা সুযোগ থাকবে না।’
শনিবার দুপুরে সরকারী আইনগত সহায়তা ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত কর্মশালা ও মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলার বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ এই বিচারক ইভটিজারদের শায়েস্তা করতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘ধরে (ইভটিজার) তাদের চামড়া উঠিয়ে ফেলেন। বাকি দায়িত্ব আমার। তাদের ধরে থানায় দেন, আদালতে তুলেন। একদিনেই ইভটিজারদের বিরুদ্ধে ট্রায়াল শেষ করা হবে।’
মতবিনিময় সভায় জেলা ও দায়রা জজ আরো বলেন, ‘মামলায় কেউ জিতলে সে হাসতে হাসতে বাড়ি যায়। মামলায় কেউ হারলে সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি যায়। কিন্তু বিকল্প নিষ্পত্তির মাধ্যমে বিচার হলে সবাই হাসতে হাসতে বাড়ি যায়।’
তিনি বলেন, ‘সরকার অসহায় ও দরিদ্রদের জন্য আইনি সহায়তার পাশাপাশি এখন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বিচার শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছেন।’
সাদিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘বিচারকের শেষ বাঁধা চোখের পর্দা আমি খুলে ফেলতে চাইছি। বিচারকরা সাধারণরত সামাজিক পরিবেশ থেকে দূরে থাকেন। আমি সেই ব্যবস্থাও মানি না। আমি সাধারণের সাথে মিশে সাধারণের জন্য কাজ করতে চাই।’
অসহায় বিচারপ্রার্থীদের সরকারী আইনগত সহায়তা প্রাপ্তি ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিরোধীয় বিষয় দ্রুত শেষ করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এই কর্মশালা ও মতবিনিময় সভায় কক্সবাজার জেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, নির্বাচিত সদস্য (ইউপি মেম্বার), বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষক ও মসজিদের ইমামগণ অংশ গ্রহণ করেন।
জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি আয়োজিত এই কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও যুগ্ন জেলা জজ সুলতান মাহমুদ, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট একে আহমদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গোলাম ফারুক খান কায়সার, কক্সবাজার পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মনতাজুল ইসলাম, জিপি এডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন