ফাইল ছবি- রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার ছবি।
সম্প্রতি সময়ে আমরা রোহিঙ্গাদের কান্না দেখেছি। মানবতাবাদীরা বাংলাদেশের উপর চাপ প্রয়োগ করেছে তাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য। তারা মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে না। যারা নির্যাতন চালিয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। তারা মুসলমানের ধোঁয়া তুলে দেশে মুসলমানের সহানুভূতি আদায়ের হীন চেষ্টা করে। মানবতাবাদী উখিয়া-টেকনাফের জনগণ বুঝতে পেরেছে রোহিঙ্গারা মানবতার ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক মহলের পণ্য। এখানে ধর্ম নেই, নেই মানবতা! আছে শুধুই নিষ্ঠুরতার!
এখন পৃথিবীতে আলোচনার বিষয়বস্তু রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেন আক্রমন। প্রতিদিন কতশত নিরহ মানুষ মারা যাচ্ছে তার কোন হিসেব নিকেশ নেই। বুলেটের আঘাতে নিতর দেহ পড়ে আছে রাস্তায় রাস্তায়। কি নির্দয়, কি নির্মম, কি বিভৎস না দেখলে কেউ বুঝবে না। পৃথিবীতে চলছে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার। নির্মম হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ। ইউক্রেনের জনসাধারণের কান্নায় আকাশ ভারি হয়ে উঠেছে। বিশ্বের ক্ষতাধর রাষ্ট্রগুলো কেউ ধিক্কার জানাচ্ছেন, কেউ পক্ষে সাফাই গাইছেন। তাতে কি.? এসব নিয়ে মোটেও বিচলিত নয় হামলাকারী বা মানবতাবাদীরা। কারণ তাদের কাছে ব্যবসাটাই মূখ্য। দেশ ছেড়ে বিদেশে তার প্রভাব বিস্তার করা। নিজেকে প্রভাবশালী হিসেবে প্রতিষ্টা করা।
সৌদি সরকার ইয়েমেন হামলা করেছে। তাদের বোমা আর বুলেটের আঘাতে ঘুমেই মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ছে তার কোন হিসেব-নিকেশ নেই। ইয়েমেন কিন্তু অমুসলিম নয়। অবুঝ শিশুদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে সৌদি আগ্রাসনে। কোন মুসলিম দেশ কিংবা আমার দেশের ধর্ম ভিত্তিক দলগুলো প্রতিবাদ করে না। বরং তাদের আচরণ এমন যে পৃথিবীতে কেউ কিছু হয় নি। এর আগে আমরা ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়ায় ধ্বংসযজ্ঞ দেখেছি। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ নারী পুরুষের বিবস্ত্র কান্না দেখেছি। তখন কিন্তু মানবতা দেখেছি। দেখছি ক্ষুদ্রের উপর বৃহতের হামলা। যৌবনের ক্ষুধার্ত বাঘ যেন দুর্বল হরিণ শিকারে ব্যস্ত। এখানে নেই মানবতা, নেই প্রেম, ভালবাসা কিংবা ধর্ম। ধর্মের নামে অধর্মের কাজ চলছে প্রতিনিয়ত। নিষ্পাপ শিশুদের রক্ত স্রোতে প্রতিষ্টা করতে চাই নিজের অহমিকা। নেকড়ের মতো চারদিকে সম্রাজ্যবাদীদের নির্দয় আগ্রাসন চলছে। মানবতা আর ধর্মটা হামলার হাতিয়ার মাত্র! দুটোই এখন কাগজের শব্দ মাত্র।
মন্তব্য করুন