বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
ফারুক আহমদ, উখিয়া ::
উখিয়ার ইনানীতে শাহানু আক্তার (১৬) নামক এক যুবতী গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। লম্পটের হাতে পৈশাষিক নির্যাতনের শিকার যুবতির পরিবার উখিয়া থানায় মামলা করতে গেলে ৩ দিন পর্যন্ত মামলা রুজু না করে উল্টো অপবাদ দিয়ে কালক্ষেপন করছে বলে গুরুতর
অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের গণধর্ষনের পরও থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের নিদানিয়া গ্রামের ফরিদ আলমের কন্যা শাহানু আক্তার গত ১৪ সেপ্টেম্বর সোনারপাড়া বড় বোন জোৎসনা বেগমের শ্বশুর বাড়ী হতে টমটম যোগে সন্ধ্যায় নিজ বাড়ীতে যাচ্ছিল। ওই গাড়ীতে কয়েকজন যুবক ছিল। তারা মেয়েটিকে নামিয়ে না দিয়ে জোর পূর্বক টমটম যোগে মেরিণ ড্রাইভ সড়ক দিয়ে ইনানীস্থ মোহাম্মদ শফির বিল নামক এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ৪ জন যুবক গণধর্ষন করে। খবর পেয়ে ইনানী পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা অভিযান চলাকালে খবর পেয়ে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ২ জন যুবকে সন্দেহজনক ভাবে আটক করেছিল। পরে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের মোবাইল রেখে দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানান।
পিতা ফরিদ আলম অভিযোগ করে বলেন, টমটম যোগে আমার মেয়েকে অপহরণ করে মোহাম্মদ শফির বিল এলাকায় পাষন্ত ৪ যুবক ধর্ষণ করে। এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে ইনানী পুলিশ ফাঁড়িকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান টের পেয়ে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরের দিন ধর্ষনের শিকার শাহানু কে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়া হাসপাতাল পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা রুব্বান বেগম বাদী হয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছোট ইনানী গ্রামের মৃত শুক্কুরের পুত্র ছেহের আলী (২৮), মোহাম্মদ আলমের পুত্র মিজান (২৫) সহ ২ জন অজ্ঞাত নামা যুবককে আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেছে বলে জানা গেছে। জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোছাইন চৌধুরী গণধর্ষনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন জড়িতদের কে গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে চাঞ্চল্যকর ঘটনা উদঘাটন করা সম্ভব হবে। তবে সচেতন এলাকাবাসীর মতে থানায় মামলা না নিয়ে ধর্ষিতা কে চরিত্রহীন বলে অপবাদ দেওয়া ঘটনাকে দু:খ জনক। এ নিয়ে পুরো গ্রাম জুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
ধর্ষিতার পরিবার অভিযোগ করে বলেন, গত ২ দিন ধরে ধর্ষনের শিকার যুবতীকে নিয়ে থানায় অবস্থান করার পরও অধ্যবদি মামলা রুজু না করে গড়ি মসি শুরু করেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তদন্ত কারী অফিসার আনোয়ার ইসলাম বলেন, ধর্ষনের ঘটনা সত্য তবে মেয়েটি চরিত্রহীন। তাই তদন্ত করে সত্যতা প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলা রুজু করা হবে।
মন্তব্য করুন