বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স॥
আগামী জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের নিরাপত্তা পর্যালোচনা দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
শনিবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন দলের প্রতিনিধিরা।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন আইসিসি নিরাপত্তা পরামর্শক সিয়ান নোরিস, রেগ ডিকসন ও ইভেন্ট প্রধান ক্রিস টেটলি।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি, কর্মকর্তা ও দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সফররত আইসিসি নিরাপত্তা পযালোচনা টিমকে আশ্বাস দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আইসিসি টিমকে বলেন, নিরাপত্তা একটি উদ্বেগের বিষয়। তাই, বাংলাদেশ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবসময় আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখে।
বাংলাদেশ এই ইভেন্ট সফল করতে সর্বোত্তম ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।
আন্তর্জাতিক ইভেন্টে আয়োজনে বিশেষ করে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনে বাংলাদেশের অতীতের ভালো অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
টুর্নামেন্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা তারাই ভবিষ্যৎ খেলোয়াড়।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে যেকোন ইভেন্টের আগে আইসিসি আয়োজক দেশ সফর করে জানিয়ে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন সাংবাদিকদের বলেন, আইসিসি অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়, আম্পায়ার, রেফারি, কর্মকর্তা ও দর্শকদ ও দর্শকদের বন্ধু ও পরিবারের নিরাপত্তা-সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়। এ লক্ষ্যে যে কোন হুমকি বা ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ টিম ইতোমধ্যে ভেন্যুগুলো পরিদর্শন এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার জন্য সংশ্লিষ্ট সব নিরাপত্তা সংস্থা, সদস্য দেশগুলোর কয়েকটি হাইকমিশন, বেসামরিক ও সামরিক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে।
রিচার্ডসন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপত্তা অধিকতর চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। তবে, এর অর্থ এই নয় যে, আমরা বিশেষ কোন স্থানে ইভেন্ট করতে পারবো না। বরং এর অর্থ হচ্ছে যে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করতে হবে যাতে ঝুঁকি ও হুমকি মোকাবেলা করা যায়।
টুর্নামেন্ট চলাকালে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে দায়িত্বশীল সকল নিরাপত্তা সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আইসিসি নিরাপত্তা টিম সাক্ষাৎ করেছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশের স্টেডিয়ামগুলার অবস্থা সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী।
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ২৭ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে। এই টুর্নামেন্টে ১৬টি দেশ অংশগ্রহণ করবে।
মন্তব্য করুন