শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২০ অপরাহ্ন

প্রকাশকদের ওপর হামলায় সন্দেহের মূলে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম : ডিবি

প্রকাশকদের ওপর হামলায় সন্দেহের মূলে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম : ডিবি

অনলাইন বিজ্ঞাপন

আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স॥

আনসারুল্লাহ বাংলাটিমকে (এটিবি) সন্দেহের মূলে রেখে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা ও শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ তিনজনের ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়ন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, লেখক-প্রকাশক হত্যাকাণ্ডে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জড়িত থাকলেও আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।

আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) নামে বিবৃতি পাঠিয়ে আনসার আল ইসলামের টুইট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই দাবি করে মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রকাশকদের ওপর হামলার ঘটনায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে সন্দেহের মূলে রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমাদের ধারণা, এটিবির কোনো আমব্রেলা (অঙ্গসংগঠন) এ হামলা চালিয়েছে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) চার টিমের সবচেয়ে দক্ষ কর্মকর্তারা হামলার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।

প্রকাশকদের ওপর হামলার ঘটনায় ফেনী থেকে ডিবি কাউকে গ্রেপ্তার করেছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। গত সপ্তাহে দুই প্রকাশকের ওপর হামলায় আনসার আল ইসলামের টুইটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তাদের দায় স্বীকার আংশিক সত্য। নিহত লেখক অভিজিৎ রায়ের দুই প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং আহমেদুর রশীদ টুটুলের ওপর শনিবার হামলার পর ওই টুইটটি করা হয়। অভিজিতের পর ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাশ, নীলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়কে কুপিয়ে হত্যার পরও একই ধরনের বার্তা এসেছিল।

ব্লগার হত্যাকাণ্ডের পর আল কায়দার নামে আনসারুল্লার দায় স্বীকারের বার্তা এলেও সম্প্রতি দুই বিদেশি খুন, পুলিশ খুন এবং শিয়াদের মিছিলে হামলার পর দায় স্বীকারের বার্তা আসে আইএসের কাছ থেকে। এর আগে পুলিশ আল কায়দা সম্পৃক্ত জঙ্গি, আইএস সম্পৃক্ত জঙ্গিদের ঢাকায় গ্রেপ্তারের খবর বেশ ফলাও করে দিলেও দুই বিদেশি খুনের পর অনেকটাই সংযত। বাংলাদেশে আইএসের কোনো তৎপরতা নেই বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তাদের বিবৃতি প্রকাশকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

জঙ্গি তৎপরতার জন্য বাংলাদেশে নিষিদ্ধ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। ২০১৩ সালে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় এখন বিচারের মুখোমুখি তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অভিজিৎ হত্যার পর আনসারুল্লাহর নামে টুইটার থেকে আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার বার্তা আসে প্রথম। তখন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছিলেন, আল-কায়েদার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে আনসারুল্লাহ। গত ৩১ অক্টোবর বিকালে রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে অভিজিতের বইয়ের প্রকাশক জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই সময়ে লালমাটিয়ায় আরেক প্রকাশক শুদ্ধস্বরের কর্ণধার আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুলসহ তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

কালের কণ্ঠ অনলাইন


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM