বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
মুশফিক যখন ব্যাট করতে আসেন তখন বাংলাদেশের রান ৩০। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব বর্তায় মুশফিকের কাঁধে। তামিমের সাথে চমৎকার এক জুটি গড়েছেন। এরপর সাকিব আল হাসানের সাথে ছোটো জুটি হয়েছে। সাব্বির রহমান আসেন। মুশফিকের সাথে আসল জুটিটা হয়েছে তারপরই। এই দুই ব্যাটসম্যানই মূলত টাইগারদের রানের চাকা সচল রেখেছেন। জিম্বাবুয়ে উইকেট পায়নি। মুশফিক ও সাব্বির নিরবচ্ছিন্নভাবে সচল রেখেছেন রানের চাকা।
সাব্বির যেখানে ব্যাট করেন সেখানে সময় বেশি পাওয়া যায় না। এদিনও এসেছেন ২৮ ওভারের সময়। ততক্ষণে ফিফটি হয়ে গেছে মুশফিকের। বোলারদের চিনে ফেলেছেন। ভালোভাবে সেট হয়েছেন উইকেটে। ক্রেমার, পানিয়াঙ্গারারা একটু বেশি সমীহই পাচ্ছিলেন। মারার মতো বল পেলে ছেড়ে দিচ্ছিলেন না কেউই। এভাবেই বাংলাদেশের ইনিংস এগিয়েছে। সাব্বির ফিফটি করে দলের সংগ্রহে রেখেছেন বড় ভূমিকা।
তামিম ও মুশফিক যখন জুটি বাঁধেন তখন ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে টাইগাররা। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলতে দরকার ছিল ভালো বোঝাপড়ায় ভালো জুটি। সেটাই করার চেষ্টা করেছেন তারা। মজার ব্যাপার হলো, তামিম অনেকটা খোলসে ঢুকে পড়ে ব্যাট করেছেন। সুযোগ মতো চড়াও হয়েছেন বোলারের ওপর। কিন্তু মুশফিক ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলেছেন। বলে বলে রান নেওয়ার দিকে ঝোঁক ছিল তার। ব্যাটিং রোটেট করে গেছেন। তবে লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমার সম্ভবত একটু বেশি সমীহ পেয়েছেন এই জুটির কাছ থেকে। ৭০ রানের জুটি হয়েছে তামিম ও মুশফিকের।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টসে হেরে প্রথম ওয়ানডেতে প্রথম ধাক্কাটা বাংলাদেশ খায় দ্বিতীয় ওভারেই। তামিমের সাথে ব্যাটিং ওপেন করতে এসেছিলেন লিটন দাস। ৬ বল খেললেন লিটন। কোনো রান করতে পারলেন না। লুক জংবির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে এলেন। দলের রান তখন ২। সেখান থেকে ২৮ রানের জুটি হয়েছে তামিম ও মাহমুদ উল্লার মাঝে। এই জুটির গতি ধীর ছিল। কিন্তু রান আসছিল। তবে পানিয়াঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে ভাঙে মাহমুদ উল্লার (৯) প্রতিরোধ।
২৪তম ওভারে ১০০ রান হলো বাংলাদেশের। তারপরই হলো সর্বনাশ। সিকান্দার রাজাকে তুলে মারতে গিয়ে শেষটায় মন বদল করতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তাতে শটের ওপর পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকলো না। যে বলে তামিমের তৃতীয় ছক্কা হওয়ার কথা সেই বলে জংবির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। ১০০ রানে তৃতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ। ৬৮ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪০ রান করে ফিরে এলেন তামিম। এরপর সাকিব ১৬ রান করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়েছেন।
মন্তব্য করুন