সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি॥
কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদ ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার জহরলাল পাল চৌধুরী আর নেই।
তিনি বুধবার দিবাগত রাত ২টায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরলোকগমন করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক কন্যা, এক পুত্র, নাতি-নাতনী, অসংখ্য সহকর্মী, সুহৃদ, শুভাকাংখি, গুণগ্রাহী ও আতœীয়স্বজন রেখে গেছেন।
তিনি রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের বিখ্যাত জমিদার প্রয়াত যোগেন্দ্র পাল চৌধুরীর সন্তান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টয় রাজারকুল পালপাড়ার পারিবারিক শশ্মানে তা শেষ কৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে। পুলিশের একটি চৌকষদল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। তাঁর মরদেহ জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এদিকে দুপুর ১২টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা জহরলাল চৌধুরী মহদেহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ড কার্যালয়ে (মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স) আনা হলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। তাঁর দীর্ঘকালের সহকর্মীরা অঝোর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
কক্সবাজার জেলা সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে জেলা কমান্ডের কমান্ডার রমজান আলী বাহাদুর ও ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ শাহাজাহান জহরলাল পাল চৌধুরীর কফিনে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চুনতিতে এক দুঃসাহসিক অভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে ২২ জন পাকিস্তানী হানাদারকে হত্যা করেছিলেন জহরলাল পাল ও তাঁর দল। যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা জহরলাল পাল চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বিবৃতি প্রদান করেছেন অসংখ্য সংগঠন। বিবৃতি প্রদান করেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রমজান আলী বাহাদুর ও ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ শাহজাহান, জেলা জাসদের সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি নুরুল আবছার (চেয়ারম্যান) ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাত, কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কাদের চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সভাপতি মো: খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, দৈনিক রূপসীগ্রাম পরিবার।
মন্তব্য করুন