নাজিম উদ্দিন :
পেকুয়া উপজেলার ৭ইউনিয়নে চলছে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহের ফরম সংকট। একটি ফরমের জন্যে উপজেলার জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিদিন উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে লোকজন ভিড় জমালেও মিলছেনা একটি ফরম। একটি ফরম সংগ্রহের জন্যে কতইনা তদবির করছে ভোটার হয়ার প্রত্যাশীরা। এমন সংকটেও টইটং ইউনিয়নে এক তথ্য সংগ্রহকারীর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ফরম সরবরাহের গুরুতর অভিযোগ ওঠেছে। এলাকার লোকজন জানান, টইটং ২নং ওয়ার্ডের তথ্য সংগ্রহকারী ও টইটং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সোহেলের ( তিনি বর্তমানে শিলখালী সবুজ পাড়া আশরফ নুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত) বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ভোটার হালনাগাদ ফরম বিতরণের অভিযোগ ওঠেছে। পশ্চিম টইটং শের আলী মাষ্টার পাড়ার মৃত বজল আহমদের পুত্র নাছির উদ্দিন, মাহামুদের পুত্র বশির আহমদ, হাজিরপাড়ার মৃত ইউসুফের পুত্র জিয়াবুল হক, মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র মোজাফ্ফর, বধুমিয়া হাজিরপাড়ার আজিজুল হকের পুত্র বেলাল, আলেকদিয়া কাটার মোস্তাক আহমদের পুত্র নুরুল আমিন, তার ভাই নুরুল কবির, সুজাংগীরের স্ত্রী পারভীন আক্তার, আলেকদিয়াকাটার মোস্তাক আহমদের স্ত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস, মৃত শোয়াইব আলী চৌধুরী এর পুত্র আবু হুরায়রা, মৃত মনজুর আলমের পুত্র সুজাংগীর, তার ভাই শহিদুল ইসলামের নিকট থেকে ভোটার করার নামে ফরম প্রতি ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে। টইটং ২ নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী মোজাফ্ফর জানান, আমার নিকট টাকা দাবী করার কারনে আমার ৪ জন ছেলেকে ভোটার করাতে পারছি না। মৃত মনজুর আলমের ছেলে সুজাংগীর জানান, আমি সহ তিনজনকে ভোটার করালে ৩শ টাকা দাবী করে। মৃত শোয়াইব আলী চৌধুরীর পুত্র মোহাম্মদ আবু হুরায়রা জানান, আমার নিকট থেকে টাকা দাবী করার কারনে আমি ভোটার হতে পারছি না। এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন আরো জানান, ওই তথ্য সংগ্রহকারী মোহাম্মদ সোহেল ছকিদার কামালকে কিছু ভোটার ফরম সরবরাহ করে। ওই ছকিদার ও ভোটার ফরমগুলি বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ সোহেল জানান, তিনি ফরমের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। উল্লেখ্য যে, পেকুয়া উপজেলার ৭ ইউনিয়নে আজ ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে পেকুয়া উপজেলায় ১২ জন সুপারভাইজার, ৬১ জন তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা আলমাছ খোকন জানান, এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। তবে তদন্ত করে উর্ধতন কর্মকর্তার মাধ্যমে বিহীত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন