শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী,
পেকুয়ার রাজাখালীর ৫ সন্তানের জননী স্বামীর বাড়ী থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মালামাল সহ উধাও হয়ে গেছে। জানা গেছে রাজাখালী দশেরঘোনা এলাকার নজির আহমদের স্ত্রী ৫সন্তানের জননী ফরিদা বেগাম(৩২) গত ২০দিন পূর্বে নগদ টাকা ও মালামাল সহ অজানার উদ্দেশ্যে উধাও হয়ে গেছে। স্বামী নজির আহমদ তার শাশুড়বাড়ি সহ আত্বীয় স্বজনের বাড়ীতে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদে স্ত্রী ও স্ত্রীর ৩ভাইয়ের জন্যে বিচার দায়ের করার পর পেকুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে গৃহবধুর এখনও কোন খোজ পায়নি। নজির আহমদ বলেন, তিনি কর্মস্থল চকরিয়ায় থাকার সুযোগে তার স্ত্রী ফরিদা তার ভাই মগনামা শরৎঘোনা এলাকার রেজাউল করিম, ফজল করিম ও জিয়াবুল করিমের কুপরামর্শে তাদের কাছ থেকে পাওনা টাকার দলিল প্রমাণ সহ নিয়ে গিয়ে এখন তাদের কাছে নাই বলে আমাকে হয়রানি করার জন্যে অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রীর ৩ভাই ননজুড়িশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে তার কাছ থেকে জমি বন্ধক হিসেবে ৩লাখা টাকা নিয়েছিল সে দলিল, তার প্রতিবেশী তারেকের কাছ থেকে নেয়া ২৫হাজার টাকা, জমিরের দেয়া ২৫হাজার টাকা বন্ধকি দলিল, আবুতাহেরের দেয়া বন্ধকি দলিল ও নেয়ামত উল্লাহর দেয়া ৩০হাজার টাকার বন্ধকি দলিল তার জাতীয় পরিচয় পত্র ও নগদ ৪০হাজার টাকা চকরিয়া ইসলাম নগরে একটি জমির ক্রয় দলিল ও বসতঘরের মূল্যবান কাগজ পত্র নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। বর্তমানে তার ভাইরা প্রতিনিয়ত তার বসতঘর জ্বালিয়ে দেয়ার ও তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। নজির আহমদের বৃদ্ধা মা লাইলা বেগম বলেন, তার ছেলে চকরিয়ায় চাকুরী করে তার পুত্র বধু কাউকে কিছু না বলে ঘর থেকে চলে গেছে। স্থানীয় লোকজন বলেন, নজির আহমদের স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে তার পরিবারের সাথে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বা সহ অনেক চেষ্ঠা করেছে অথচ তারা স্বীকারও করছেনা সে তাদের কাছে আছে। পেকুয়া থানায় দায়ের করা অভিযোগের তদন্তকর্মকর্তা এ.এস.আই নাজিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জন্যে হয়ত ফরিদা চলে গেছে।
মন্তব্য করুন