বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

পেকুয়ায় বন্যায় বিপর্যস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের খবর নেই

পেকুয়ায় বন্যায় বিপর্যস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের খবর নেই

অনলাইন বিজ্ঞাপন

এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী পেকুয়া॥.

কক্সবাজারের পেকুয়ায় দফায় দফায় বন্যায় বিপর্যস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের খবর নেই। ফলে, প্রতিনিয়ত ঘঠছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। শেষ নাই জনভোগান্তির। জানা যায়, চলতি বছরের বর্ষা মৌসূমে দফায় দফায় বন্যাক্রান্ত হয় পেকুয়ায়। এসময় দিনের পর দিন পানিতে তলিয়ে পড়ে প্রত্যন্ত পাড়া-মহল্লার লোকালয় ছাড়াও এলাকার বিস্তির্ণ রাস্তাঘাট।

যার কারনে কক্সবাজারের উপকুলীয় গ্রামীণ জনপদ হিসাবে পরিচিত পেকুয়া উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও আভ্যন্তরীন রাস্তাঘাটগুলো বিপর্যস্ত হয়ে যান ও জন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে বন্যা পূর্বাপর বিপর্যস্ত প্রধান প্রধান সড়ক ও আভ্যন্তরীন গ্রামীণ রাস্তাঘাটগুলো দ্রুত সংষ্কার উন্নয়নের কথা বলতে দেখা শোনা গেলেও বাস্তবতার সাথে নেই তার মিল।

উপজেলার ৭ইউনিয়নের বিস্তির্ণ গ্রামীণ অবকাটামোর রাস্তাঘাটগুলো সংষ্কার উন্নয়নতো দূরে থাক জনগুরুত্বপূর্ণ প্রধান প্রধান সড়কগুলোর সংষ্কারের দেখা মিলেনি এখনো।

গতকাল সোমবার সরোজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার বানিয়ারছড়া-বরইতলী মগনামা সড়ক নামের উপজেলার প্রধান রাস্তাটির যথাযথ সংষ্কার উন্নয়ন অভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আছে। এসড়কটির পাহাড়চাঁদা পরবর্তী আক্কু মিয়ার কাঁচারী, বাঘগুজারা সাঁকোরপাড় ষ্টেশন, সালাহউদ্দিন ব্রীজ, চৈরভাংগা ষ্টেশনের পশ্চিমের তেমুহনী ব্রীজ, আহমদ ডিলার চৌমুহুনী, মঞ্জুরের চৌমুহুনীর বারবাকিয়া রাস্তার মাথা, আন্নর আলী মাতবরপাড়া পয়েন্ট, ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সামনে, উপজেলার প্রশাসনীক প্রাণকেন্দ্র কলেজ গেইট চৌমুহুনী থেকে প্রধান বানিজ্য বিপনী পেকুয়া আলহাজ¦ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের পশ্চিম প্রান্ত,পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে, সমূদ্র স্মরনী ব্রীজ পয়েন্টের প্রায় অর্ধশতাধিক স্পট সড়কের অংশে ছোট বড় গর্ত খাদ আর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বিদ্যমান।

এছাড়া, উপজেলার অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চট্টগ্রাম-বাঁশখালী-টইটং-পেকুয়া সংযোগ আঞ্চলিক মহাসড়কের অবস্থাতো আরো করুন ও বেদনাদায়ক। জনগুরুত্ব এরাস্তাটিরও মেহেরনামা বাঘগুজারা ব্রীজ থেকে শুরু হয়ে টইটং সীমান্ত জনপদ এলাকার প্রায় শতাধিক পয়েন্ট জুড়ে এখনো ঘাঁ আকারের ক্ষত হাঁ হয়ে আছে জনভোগান্তির পরিধি বাড়ানোয়। অন্যদিকে, আভ্যন্তরীন সড়কগুলোর মাঝে শিলখালী ইউনিয়নের পাহাড়চাঁদা মাদ্রাসা পয়েন্ট থেকে পেঠান মাতবরপাড়া সড়ক, সবুজপাড়া সড়ক, আলী চাঁন মাতবরপাড়া সড়ক, হাজি¦রঘোনার হাজি¦ মরহুম ওবায়দুল হাকিম সড়ক, বাঘগুজারা সাঁকোরপাড় ষ্টেশন জারুলবুনিয়া সংযোগ আলহাজ¦ নুরুল আমিন চৌধুরী সড়কের হাজিরঘোনা পয়েন্ট, শিলখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পয়েন্ট, বনানী পল্লী, বইদ্যের পুল, জারুলবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পয়েন্ট, জনতা বাজার শিলখালী হাই স্কুল সংযোগের ডাঃ মনিরুজ্জামান সড়ক, শিলখালী পেন্ডার ব্রীজ হইতে হেদায়তাবাদের মরহুম মৌলভী নজির আহমদ সড়ক, শিলখালীর জনতা বাজার রাস্তার মাথা হইতে হেদায়তাবাদ সংযোগ মরহুম মনিরুজ্জামান চৌধুরী সড়ক, শিলখালী মুন্সি মুরা পাড়া এলাকার প্রধান রাস্তা মরহুম নুরুল আলম কাদেরী সড়ক, মুন্সি মুরা চেপ্টা মুরা সংযোগ মরহুম আবদুল কাদের সড়ক, মুন্সিমুরা জনতা বাজার সংযোগ মরহুম আবদুল কাদের সড়ক, পেন্ডারব্রীজ জনতা বাজার সংযোগ মৌলভী এমদাদুল হক সড়ক, ইয়াতিমখানা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার ছাবের আহমদ সড়ক, মাঝেরঘোনা জনতা বাজার সংযোগ মরহুম গোলাম কাদের সড়ক, জারুলবুনিয়া এলাকার দক্ষিনজুম ভিলিজারপাড়া এলাকার মরহুম ছৈয়দ নুর সড়ক, জারুলবুনিয়া সাপেরগাড়া সংযোগ মরহুম আবদুস সালাম সড়ক, সেগুন বাঁগিচা সাপেরগাড়া সংযোগ মরহুম মৌলভী আকবর আহমদ সংযোগ সড়ক সহ পুরো গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাঘাট এবারের বন্যায় ব্যাপক ভাবে বিধ্বস্ত হলেও এখনো পর্যন্ত সেসবের কোন সংষ্কার উন্নয়ন প্রক্রিয়া গ্রহন করেনি কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া, পেকুয়া উপজেলার একমাত্র প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ সম্মত শিলখালী হারবাং সংযোগ মোবারেকা এভিনিউ সড়কেতো দীর্ঘ ৫০বছর যাবত কোন সংষ্কার উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় ওই সড়কে যান চলাচলতো দূরে থাক স্বাভাবিক জন চলাচলও হয়েছে দায়। বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী সড়ক, নাজিরপাড়া সড়ক, নাথপাড়া সড়ক, গোলাম রব্বান সড়ক, পাহাড়িয়াখালী সড়ক, বারবাকিয়া বাজার বারইয়াকাটা সংযোগ সড়ক, কাদিমাকাটা সড়ক, ফাঁশিয়াখালী মাদ্রাসা সড়ক, রাহাতআলী পাড়া সড়ক, বুধা মাঝিরঘোনা সড়ক চলতি বর্ষা ও বন্যাকালে চলাচলের অনুপযোগী হলেও নেয়া হয়নি তার মেরামত প্রক্রিয়া। টইটংয়ের ৯ওয়ার্ডের প্রায় সকল রাস্তাঘাট এবারের বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান ও জন চলাচল উপযোগিতা হারালেও নেয়া হচ্ছেনা তার সংষ্কার পরিকল্পনা। মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নেও প্রধান প্রধান আর আভ্যন্তরীন রাস্তাঘাটগুলো বন্যা আর প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওসব এলাকার বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছেন ভোগান্তির। আর চলতি বর্ষা মৌসুমের বন্যায় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের রাস্তাঘাটেরতো বেহাল দশায় উপনীত হওয়ায় ওই এলাকার লোকজনই শুধু ভোগান্তির শিকার হচ্ছেনা সদর গন্তব্য যাত্রীরাও পোহাচ্ছেন তার চরম যন্ত্রনা। অথচ, এনিয়ে যেন কারো নেই মাথা ব্যাথা। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের অগ্রজ জনপদ পেকুয়া উপজেলার রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খান এ প্রতিবেদককে জানান, এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মুহাম্মদ ইলিয়াছ এম.পি’র মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন জোর চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM