মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ন
সরওয়ার কামাল, মহেশখালী ॥
মহেশখালী’র ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী’র প্রচন্ড ভিড়-সিটের সংকুলন হচ্ছে না বিধায় ফ্লোরে রোগীর ঠাঁই মিলেছে। গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৫ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ডায়রিয়া রোগীর ভিড় জমেছে রেজিষ্ট্রারে মহিলা ও পুরুষ কেবিনে রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭০ এর উর্ধ্বে তৎমধ্যে বেশীর ভাগই ডায়রিয়া রোগী মহিলা ২৭, পুরুষ ১৯ ও শিশু ১৩ জন সব মিলিয়ে হাসাপাতালে ঠিলের ঠাঁই নাই। হাসপাতালে দায়িত্বরত আরএমও ডাঃ মাহফুজুল হক জানান, চলতি মৌসুমে ডায়রিয়া রোগীর প্রকৌপ বাড়ছে বিধায় হাসপাতালে সিমিত আসনে সদা সর্বদা সাধারন রোগী থাকে পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হিমশিম খেতে হচ্ছে এরপরে যথা সাধ্য রোগীদের চাহিদামত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডাঃ আশীষ দে জানান, আমরা আমাদের সাধ্যমত রোগীদের সেবা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মহিলা কেবিনে ৪৬ নং বেটের ডায়রিয়া রোগী ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা জেসমিন রহমান জেমি জানান, হাসপাতালে প্রয়োজন মত সেবা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা পেয়েছি। ২৯নং সিটের সুফিয়া নামক ডায়রিয়া রোগী জানান, আমি ৩০ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত নিয়মিত সেবা পেয়েছি। পুরুষ কেবিনের শিশু ডায়রিয়া রোগী আসলামের অবিভাবক নেজাম উদ্দিন জানান, ভর্তির হওয়ার পর সিটে অবস্থানের প্রাক্কালে একটু সমস্যা দেখা দিলে ও পরবর্তী সময়ে ঠিকঠাক মত সেবা পেয়েছি। আরেক ডায়রিয়া রোগী মোঃ ছিদ্দিক জানান, আমি ৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০ টার সময় ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাসপাতালের নিয়োজিত ডাক্তার মাহফুজ স্যার, নার্স ও তাদের সহযোগীরা সব সময় খবরা খবর রেখেছে। মহিলা কেবিনের ৪৭নং বেটের ভর্তি ডায়রিয়া রোগী কুতুবজোম ঘটিভাঙ্গা এলাকার ফিশিং বোটের শ্রমিক ফরিদ আলমের মেয়ে নার্গিস আক্তার জানান, ডায়রিয়া শুরু হওয়ার সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর টানা স্যালাইন ও অন্যান অযুধ সেবনের পর এখন শারিরিক ভাবে সুস্থ হয়েছি। এ ব্যাপারে মহেশখালী হাসপাতালের টিএইচও সুচিন্ত চৌধুরী জানান, আমাদের সাধ্যমত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার রাখার অপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন