শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৯ অপরাহ্ন
ফয়েজুল ইসলাম রানা, টেকনাফ
সাগর নদী বেষ্টিত সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ। এ উপজেলার অধিকাংশ লোক সাগর নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নিবার্হ করে। ফলে সাগর ও নদীতে হাজার হাজার ফিশিং বোট, নৌকা বিচরন করে। অনুসন্ধানে জানা যায়, এ সমস্ত অধিকাংশ বোটের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স নেই। নামে মাত্র কিছু অংশ বোট স্ব-স্ব এলাকার ইউনিয়ন ও পৌরসভা থেকে লাইসেন্স নিয়ে থাকে। এ ছাড়া বোট গুলোর নেই নাম্বার, নেই নাম থাকেনা ইঞ্জিন ও চেছিস নাম্বার। কোন দূর্ঘটনা ঘটলে যেমনি কোন মালিক দায় শিকার করে না তেমনি বোটেরও কোন লাইসেন্স পত্র পাওয়া যায় না। লাইসেন্স না থাকায় বোট গুলো বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে। তৎমধ্যে সাগরে দস্যূতা, ইয়াবা ও মানবপাচার চোরাচালানি কাজে ব্যবহার হয়। নাম দেওয়া হয় সাগর ও নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছে। টেকনাফ সাগর ও নদীতে কয়টি ফিশিং বোট, কয়টি মালওয়ারী বোট ও কয়টি নৌকা রয়েছে এর পরিসংখ্যান কোন সংস্থার নেই। তেমনি নেই লাইসেন্স পত্রের হিসাব। প্রতিটি উপজেলায় মৎস্য ও বোট সংক্রান্ত বিষয়ে মৎস্য অফিস থাকে। অথচ টেকনাফের মৎস্য অফিসের এ সমস্ত বোটের কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তেমনি নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নেই। ফলে প্রতিদিন তৈরী হচ্ছে অহরহ বোট। এ সমস্ত বোট ফিশিং কাজে ব্যবহার না হয়ে অধিকাংশই ইদানিং ব্যবহার হচ্ছে ইয়াবা ও মানবপাচার কাজে বলে স্থানীয়রা জানায়। এর কারনে সাগর নদীতে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত অবৈধ কর্মকান্ড সংঘটিত হচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে এ খাতে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
মন্তব্য করুন