বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজারে ঈদগাঁওতে গণধর্ষণের ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করেছে পুলিশ। গত ২ ফেব্রুয়ারি ঈদগাঁও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল হালিমে নেতৃত্বে একদল পুলিশ রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা গুচ্ছগ্রামের পাহাড়ের কবরস্থানের পাশে পরিত্যাক্ত অবস্থায় গাড়িটি জব্দ করা হয় (গাড়ি ঢাকা মেট্রো চ ১৩- ৪৪৬৪)।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার মূল আলামত গাড়িটি জব্দ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এসআই (নিঃ) মোঃ রেজাউল করিমসহ ফোর্স।
উদ্ধারকালে সিআইডি ,কক্সবাজার টিমের সহযোগিতায় আসামিদের ব্যবহৃত গাড়ি হতে সন্ধিগ্ধ কিছু আলামত জব্দ করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গেল ২৮ জানুয়ারি কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকার কোন এক রাস্তা থেকে মাইক্রোবাসে এক কিশোরীকে (১৫) তুলে নিয়ে যায়। রাতেই চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে মাইক্রোবাসের মধ্যেই কিশোরীর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেন তারা। সেখান থেকে কিশোরীকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও কলেজ মাঠে এনে আরেকবার ধর্ষণ করেন।
৩০ জানুয়ারি ঈদগাঁও বাজারের একটি মার্কেটের দোতলায় আটকে রাখা হয় কিশোরীকে। সেখানে আবারো ধর্ষণের চেষ্টা করলে কিশোরী চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে টহল পুলিশের একটি দল তাকে উদ্ধার করে। এ সময় জাফর প্রকাশ খোরশেদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে আহাম্মদ উল্লাহ নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এঘটনায় ৩০ জানুয়ারি ঈদগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন মেয়েটির নানা (মামলা নং- ৫)। মামলায় আসামি করা হয় চারজনকে।
এরা হলেন, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের আউলিয়াবাদ গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে আহাম্মদ উল্লাহ (২৬), ঈদগাঁও ইউনিয়নের উত্তর মেহেরঘোনা গ্রামের ছব্বির আহমদের ছেলে জালাল প্রকাশ ওরফে টুক্কুইল্যা (১৯), ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ী এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে জাফর আলম (৪০) এবং একই এলাকার মো. ইদ্রিসের ছেলে জাফর আলম প্রকাশ খোরশেদ (৫৫)।
মন্তব্য করুন