শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
টেকনাফ প্রতিনিধি
টেকনাফের দমদমিয়া সেন্টমার্টিন গামী পর্যটক যাত্রীরা জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে জরাজীর্ন পল্টুন ও জেটি দিয়ে যাতায়ত করছে। যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন পর্যটক যাত্রীরা। শীত মৌসুমকে সামনে রেখে হাজার হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিনে আসছে। দেশী-বিদেশী পর্যটকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কক্সবাজার হয়ে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে চলে আসে। এখান থেকে প্রতিদিন ৬/৭ টি বড় বড় শীপ পর্যটক বুঝায় করে সকাল সাড়ে ৯ টায় সেন্টমার্টিনের উদেশ্যে ছেড়ে যায়। আবার বিকেলে টেকনাফের উদেশ্যে চলে আসে। প্রতিদিন প্রতিটি জাহাজে ৫শ হতে প্রায় ১ হাজার ৫শ পর্যন্ত যাত্রী বুঝায় হয়। এ সমস্ত যাত্রীরা কাঠের জেটি ও জরাজীর্ন পল্টুন দিয়ে জাহাজে উঠা নামা করে। পরিদর্শনে দেখা যায়, অনেক দিনের পুরনো কাঠের তৈরী নড়েবড়ে জেটি ও জরাজীর্ন পল্টুন দিয়ে পর্যটক যাত্রীরা উঠানামা করছে। আবার অনেক শীপে একটি পল্টুন ও জেটি ব্যবহার করে ২/৩ টি শীপে যাত্রীরা উঠানামা করছে। ঝুকিঁপূর্ন জেটি ও পল্টুন হলেও সেন্টমার্টিন দেখার প্রবল আগ্রহ নিয়ে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে জাহাজে উঠানামা করছে। সূত্রে জানায়, টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে যে সমস্ত শীপ চলে এদের বেশীর ভাগই ভাড়াটিয়া। মৌসুম ভেদে দেশের ও টেকনাফের কতিপয় ব্যক্তি অধিক মুনাফা লাভের উদেশ্যে এ সমস্ত জাহাজ গুলো টেকনাফে নিয়ে আসে। আবার কিছু কিছু শীপ, শীপের মালিকেরায় কর্মচারী দিয়ে চালাচ্ছে। মালিক পক্ষ নিখুত ভাবে পর্যকদের সুবিধার্থে জেটি, পল্টুন, বিশ্রামাগার, টয়লেট, যাতায়তের সড়ক ব্যবস্থা ইত্যাদির ব্যাপারে প্রতিবছর মেরামতের জন্য প্রচুর অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। অর্থ লোভী কর্মচারীগণ মেরামদের টাকা পকেটস্থ করে নামে মাত্র মেরামত দেখিয়ে বাকী টাকা গুলো আর্থসাৎ করে যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত জেটি ও পল্টুন মেরামত না হওয়ায় অতীতে অনেক দূর্ঘনা সংঘটিত হয়েছে। এর পরও জাহাজ কর্মচারীদের ঘুম ভেঙ্গেনি। উল্লেখ্য যে, অতিরিক্ত যাত্রী বুঝায়, অধিক মূল্য নেওয়া, পল্টুন ও জেটি সঠিক আছে কি না, এবং পর্যটকদের কোন সম্যসা আছে কি না এর দেখভাল করার জন্য কোষ্টগার্ড, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা দায়িত্ব থাকলেও তদারকিতে এদের চোখে পড়ে না বলে স্থানীয় লোকজন ও পর্যকেরা জানায়। এ সমস্ত সমস্যা গুলো থাকা সর্তেও এখানে প্রতিটি পর্যটককে গুনতে হয় বিভিন্ন ধরনের চাদাঁ। এ ছাড়া রয়েছে ডজন ডজন দালাল সম্প্রদায়। যে দালালেরা জাহাজ কর্মচীদের সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক রয়েছে। এ সমস্ত দালালদের বেশীর ভাগই অশিক্ষিত ও মিয়ানমারের নাগরিক। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উচ্চ লেভেলের ভিআইপি পর্যটক সহ বিভিন্ন স্তরের নামীদামী কর্মকর্তাগণ সেন্টমার্টিন সফরে আসচ্ছেন বলে সূত্রে জানায়। উল্লেখিত কারনে সেন্টমার্টিনে আসা পর্যটকদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ ছাড়াও রয়েছে কিছু বখাটে ছেলে। যারা পর্যটকদের মালামাল বহন করার নামে বিভিন্ন শীপে অবস্থান করে। এদের বেশীর ভাগই মিয়ানমারের অবৈধ ছেলে ও শিশুরা। তারা মালামাল বহনের নামে অনেক মূল্যবান জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়। তার কোন হদিস মেলেনা। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে পর্যটকগণ জানান।
মন্তব্য করুন