বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
দাতাদের দেহ থেকেই চুষে রক্তপান করে থাকে এই রক্তখেকোরা। অনেকটা সিনেমায় দেখা সেই ভ্যাম্পায়ারদের মতোই। এমনকি চা ও অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়েও রক্ত পান করে অনেকে। কল্প-কাহিনীর ভ্যাম্পায়ারদের মতো অনেক সময় রক্তদাতাদের সঙ্গে দৈহিক মিলনও করে থাকে এই রক্তখেকোরা। অনেকে নিয়মিত পড়ালেখা, চাকরিও চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে একটি বিষয়ে বেশ সতর্ক তারা। সেটা হল— সন্তানদের পড়ালেখা ও সেখানে নিজেদের পরিচয় গোপন রাখা। সন্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাবা-মায়ের আসল পরিচয় জেনে গেলে অনেকেই তাদের সঙ্গে মিশবে না বা বাঁকা চোখে দেখবে— এমন আশঙ্কা থেকেই পরিচয় গোপন রেখে থাকেন অভিভাবকরা।
রক্তপানের কারণে শরীরে কোনো সমস্যা দেখা দেয় না?— এমন প্রশ্নে বেশ অবাকই হন রক্তখেকোরা। সমস্যা তো নয়ই, বরং রক্তপানের কারণে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে থাকেন বলেই দাবি করেছেন তারা। রক্তখেকোদের দাবি, রক্তপানের মাধ্যমে বিষণ্নতা, মাথাব্যথা ও পাকস্থলীতে ব্যথার মতো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে থাকেন তারা।
বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রক্ত ব্যবহৃত হয়ে থাকলেও এভাবে রক্তপান শরীরের জন্য কতটুকু উপকারী এ নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এভাবে অন্যের রক্তপানের মাধ্যমে পানকারীর দেহে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি বা সি এর মতো মরণঘাতী রোগ ছড়াতে পারে।
চিকিৎসকরা যাই বলুক বিষয়টি নিয়ে কিন্তু রক্তখেকোদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। তাদের দাবি, এসব ফালতু কথা।শুধু তাই নয়, কাল্পনিক ভ্যাম্পায়ার বা ড্রাকুলা নিয়েও তাদের মাথাব্যথা নেই। অনেকে তো জানেনই না রক্তচোষা ড্রাকুলার খবর!
এর চেয়েও বড় কথা হল রক্তখেকো ওই সম্প্রদায় আধিভৌতিক বা অস্বাভাবিক জীবন-যাপন অথবা ঘটনার কথা বিশ্বাস করে না! এমনকি নিজেদের জীবনধারাকে খুবই স্বাভাবিক মনে করে তারা।
মন্তব্য করুন