শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি গুমারিয়া ঘোণা থেকে অপহৃত তিনজনকে মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারীরা। গতরাত পৌনে ২টার দিকে মুক্তি পান তারা। সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে মুক্তি পেয়ে বাইশারি-ঈদগাহ-ঈদগড় সড়কে ফিরে আসার পর তাদেরকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাহ তদন্ত ফাঁড়িতে নেওয়া হয়।
একজন মুমূর্ষু রোগী নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মাইক্রোবাসযোগে বাইশারি ফেরার পথে গতকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অপহরণ করা হয় বাইশারি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবু তৈয়বসহ তিনজনকে। অপহরণের কয়েক ঘণ্টা পর অপহৃতদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা প্রথমে আট লাখ টাকা এবং পরে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশি তৎপরতার মুখে ওই তিনজনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে সন্ত্রাসীরা।
বাইশারি এলাকার সাংবাদিক এম এ হামিদ কালের কণ্ঠকে জানান, মুক্তি পাবার পরপরই আবু তৈয়বের সঙ্গে তার কথা হয়। তিনি জানান, অপহরণের ঘটনা বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার এবং পুলিশের ব্যাপক তল্লাশির মুখে সন্ত্রাসীরা রাত ১২টার দিকে তাদের ছেড়ে দেয়। তবে অপহরণকারীদের সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে পারেননি আবু তৈয়ব।
স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার এবং বান্দরবান জেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত হওয়ার কারণে গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহ-ঈদগড়-বাইশারি সড়ক নিরাপত্তায় কোন থানা দায়িত্ব নিতে চায় না। দিনের বেলায় পুলিশি প্রহরা থাকলেও নির্জন এলাকার ওপর দিয়ে চলে যাওয়া এ সড়ক রাতে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে। এ সুযোগে আশপাশের এলাকার সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রায়ই সড়কেটিতে ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ঈদগড়-ঈদগাহ-বাইশারি সড়কে আরো দুটি চেক পোস্ট স্থাপন এবং রাতের বেলায় পুলিশি টহল ব্যবস্থা চালুর দাবি জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন