শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়

অনলাইন বিজ্ঞাপন

ডেস্ক নিউজ:

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে অনেকেই ঘরবন্দি। এই ভারইরাসের সংক্রমণ এড়ানোর জন্য আমাদের নানা রকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিজের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোরও দরকার। তাই এখন জেনে নেওয়া প্রয়োজন প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়।

রসুন

প্রথমেই বলতে হয় রসুনের কথা। রসুন আমাদের অনেক রকমের শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে রাখে। গন্ধটা খুব কটূ হলেও এ উপকারিতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের। সব বাড়িরই রান্নাঘরে রসুন থাকে। হয়তো তার উপকারিতার সব দিক জেনে বা না জেনেই। রসুনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী এবং প্রদাহ প্রতিরোধী জিনিস খুব কমই আছে।

আদা

একই রকমভাবে উপকারী আদাও। এমন কিছু যৌগ থাকে আদায়, যা আমাদের রক্তের শ্বেত কণিকার সংখ্যা বাড়ায়। আর শ্বেত কণিকাই আমাদের শরীরে ঢুকে পড়া ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়াদের মারে। আদা মেশানো চা খুব উপকারী। লবণ দিয়ে কাঁচা আদা খাওয়াও খুব ভালো। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দেহের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এই সময় নিয়মিত আদা, রসুন খাওয়া উচিত।

গুলঞ্চ

খুব উপকারী গুলঞ্চও। বহু দিন ধরেই আয়ুর্বেদের বিভিন্ন ওষুধে গুলঞ্চের ব্যবহার চালু আছে। এগুলো আমাদের শরীরের বিষকে বের করে দিতে সাহায্য করে। রক্ত শোধন করে। আর শত্রু ব্যাকটেরিয়াদের বিরুদ্ধে জোর লড়াই চালাতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, গুলঞ্চ খেলে আমাদের হজম ও প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। স্বাস্থ্য ভালো থাকে। গ্লাসে ১৫ থেকে ৩০ মিলিমিটারের মতো গুলঞ্চের রস নিয়ে রোজ সকালে ঘুম থেকে ওঠে খালি পেটে খাওয়া উচিত।

মেথি, কুমড়োর বীজ

মেথি, কুমড়ো বীজ খাওয়াও খুব উপকারী। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। দু’টিই আমাদের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আমাদের প্রদাহ কমায়। প্রদাহ ঠেকানোর জন্য দেহে যে ব্যবস্থা রয়েছে, তাকে সক্রিয় করে তোলে।

কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক (দস্তা), লোহা এবং ভিটামিন-ই। কুমড়োর বীজ আমাদের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কুমড়োর বীজ যেমন ভাইরাস ধ্বংস করে, তেমনই তা ছত্রাকজনিত বিভিন্ন রোগও রুখতে পারে। তা কোষের বৃদ্ধিতেও সহায়ক। এমনকি, যারা অনিদ্রাজনিত অসুখে ভোগেন, তাদের পক্ষেও খুব উপকারী কুমড়োর বীজ। স্যালাডে কুমড়োর বীজ রাখলে ভালো হয়।

সূর্যমুখী বীজ

নানা ধরনের পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সূর্যমুখী বীজে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন-ই, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। এই বীজে থাকে সেলেনিয়াম, যা কয়েক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। বাড়ায় দেহের প্রতিরোধক্ষমতাও। ত্বক ভালো রাখতেও সাহায্য করে সূর্যমুখী বীজ।

হলুদ

প্রায় সকলেরই রান্নাঘরে থাকে হলুদ। ‘কারকামিন’ই হলুদের প্রধান যৌগ। যা আমাদের দেহের প্রতিরোধক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে। কারকামিন রক্তের শ্বেত কণিকার সংখ্যাও বাড়ায়। যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মারতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।

দারুচিনি

খুব উপকারী দারুচিনি। বহু দিন ধরে খাবারদাবারে দারুচিনি ব্যবহারের চল রয়েছে, এর নানা ধরনের গুণের জন্য। প্রদাহ রুখতে এর বড় ভূমিকা রয়েছে। পারে নানা ধরনের সংক্রমণ রুখতে। নষ্ট কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতেও এ ভূমিকা রয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার/কালেরকণ্ঠ


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM