সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
ছগির আহমদ আজগরী পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়ায় অপরাধ বন্ধ ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে এবার সাদা পোষাকের পুলিশও। সেই সাথে পোষাকি অপোষাকি আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ও নজরদারী করা হয়েছে জোরদার। এনিয়ে এলাকার আন্ডার ওয়ার্ল্ডে দেখা দিয়েছে ধরপাকড় আতংক।
পুলিশের আইন-শৃংখলার উন্নয়ন ও জানমাল রক্ষায় নব উদ্যমে পথ চলার সিদ্ধান্তে এলাকায় চিহ্নিত অপরাধীদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে পুলিশি ধরপাকড় আতংক। পুলিশের গোয়েন্দা টহল, নজরদারী ও ধরপাকড় অভিযান জোরদারের বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার জাতিসংঘ সনদ সম্মাননায় ভূষিত চৌকষ পুলিশ অফিসার ইনচার্জ(প্রশাসন) ওসি মোঃ আবদুর রকিব সাংবাদিকদের জানান, এতদিন অনেক কিছু সহ্য করেছি। এড়িয়ে গেছি রাজনৈতিক চত্রচ্ছায়ায় আশ্রিত ক্যাডারদের উদ্ধ্যত আচার আচরন। পুলিশের এ সহজ সরল অবস্থানকে দূর্বল ভেবে সমাজে নিজেদের সরকার দলের লোক পরিচয়ে নানা অপকর্মে সরকার ও প্রশাসনের ভাবমুর্তি ক্ষুন্নের পাশাপাশি সরকারের অংশ হিসাবে পরিচিত প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে উস্কানী মূলক বক্তব্য বিবৃতি থেকে শুরু করে এলাকায় সাধারণ মানূষের জানমাল নিয়ে হোলি খেলায় ব্যস্ত আছেন।
গুটিকয়েক বিতর্কিত ও অসাধু নেতৃস্থানীয় পরিচয়ধারীর আইন-শৃংখলা অবনতির ইন্দনের মুখে প্রজাতন্ত্রের নিয়ম নীতি শৃংখলায় শপথবদ্ধ কেউ সরকার, প্রশাসন ও নিজেদের আত্মসম্মান বিসর্জনে গা ভাসিয়ে দেওয়ার অবকাশ থাকতে পারেনা মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাধারন মানূষের ট্যাক্সের টাকায় লালিত পুলিশ গুটিকয়েক রাজনৈতিক লেবাসধারী অসাধু লোকজনের অযোক্তিক দাবী আর অনৈতিক আবদার পুরনে লিপ্ত বা জড়িত হতে পারেনা। তিনি আরো বলেন, পেকুয়ার সামগ্রিক পরিবেশ পরিস্থিতির বিষয় নিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সামগ্রিক বিষয়ে অবহিত করে নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। সরাসরী সরকার ও উর্ধ্বতন মহলের পরামর্শ নির্দ্দেশনায় চলছে থানা পুলিশের কার্যক্রম। এখন থেকে নিয়মিত সেই আলোকেই চলবে পেকুয়ার প্রশাসন।
জানা যায়, পেকুয়া থানার বর্তমান ওসি মোঃ আবদুর রকিব ও তদন্ত(ওসি) মোঃ শহিদউল্লাহ যোগদানের পর থেকে এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি শান্ত স্বাভাবিক ও সহনীয় থাকলেও সম্প্রতি গত কয়েকদিন যাবত সংঘঠিত হয় কয়েকটি রহস্যজনক অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। বিচ্ছিন্ন এসব ঘটনার জের ধরে এলাকায় বিতর্কিত ও অপরাধে সংশ্লিষ্ট হিসাবে পরিচিত নেতৃস্থানীয় একটি কু’চক্রী মহল নিজেদের সংশ্লিষ্টতার বিষয় আড়ালের পাশাপাশি শুরু করে নতুন করে প্রকাশ্যে নামার পাঁয়তারা। এনিয়ে বিনিয়োগ ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় অবলম্বনের মাধ্যমে পেকুয়ার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হিসাবে প্রচারে মাতেন। যা নিয়ে দেখা দেয় চাঞ্চল্য ও তোলপাড়। এসময়ে সংঘঠিত শিলখালীর জারুলবুনিয়ার হাফ ডজন মামলায় সংশ্লিষ্ট দূধর্ষ নুর মোহাম্মদ ও যুবলীগ সমর্থক রেজাউল করিম চৌধুরী গ্রুপের সাথে প্রতিদ্বন্ধী শিলখালীর হাজি¦রঘোনা-পেকুয়া গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে জারুলবুনিয়া ষ্টেশন বাজারে তান্ডব, দূধর্ষ নুর মোহাম্মদ রেজাউল বাহিনীর নেতৃত্বে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পে হামলা, ভাংচুর ও লুঠপাট সহ কমরউদ্দিন নামে এক অধ্যক্ষকে দিন দুপুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম, সদরের ছিরাদিয়া এলাকায় মামা-ভাগ্নে গ্রুপের গুলিবিনিময়ে হতাহত, শিলখালীর লম্বামুরায় ওমান প্রবাসীর বসতঘরে অস্ত্রধারী দূর্বৃত্তদলের হানায় কুপিয়ে জখম-লুঠপাট ও সর্বশেষ ৬অক্টোবর পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম সাহাবউদ্দিন ফরায়েজী নিখোঁজ ও পরদিন ৭অক্টোবর বুধবার তার নিজ গ্রাম টইটংয়ের দূর্গম পাহাড়ি বটতলী জুমপাড়ায় বাশখালী সীমান্ত সংগ্লন্ন মালঘাড়া ছড়ায় তার লাশ উদ্ধারের রহস্যজনক ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি ব্যর্থতার চেয়েই যে নেতৃস্থানীয়দের দায়িত্বহীনতার পরিচয়ের বিষয়টি আড়াল করতে পত্র পত্রিকায় চালানো হয় ব্যাপক পরিকল্পিত মিথ্যাচার। অথচ এসব ঘটনার সবকটি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, পুলিশের ব্যর্থতা গাফিলতি নয় নেতৃস্থানীয়দের দায় সংশ্লিষ্টতাই ঘঠনাগুলোর মূল কারণ। যেমন- সদরের ছিরাদিয়া এলাকায় ইতিপূর্বে সংঘঠিত মামা ভাগ্নে গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘঠনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মাত্র আধ ঘন্টার মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসায় প্রেরন ও ঘটনায় জড়িত দু’পক্ষের লোককে থানায় আটক করে হাজতে রাখা হয়। পরে, উভয় পক্ষ মামলা দায়েরে অপারগতা জানিয়ে বিষয়টি নেতৃস্থানীয়দের মাধ্যমেই সমঝোতা মিমাংশা করে নেবেন জানিয়ে আটককৃতদের ছাড়িয়ে নিতে জোর লবিং তদবিরে জড়ান। ফলে, নেতৃস্থানীয়দের চাঁপের মুখে আটকদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। জারুলবুনিয়া ষ্টেশন বাজারের ঘঠনায়ও একই পরিস্থিতির মুখোমুখী হয়ে পুলিশ। তারপরেও ভুক্তভুগীদের পক্ষে দায়েরকৃত এজাহার মামলা হিসাবে গ্রহন করে পুলিশ। আর পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ.ক.ম সাহাবউদ্দিন ফরায়েজী নিখোঁজ ও লাশ উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশ আগে থেকেই যেমন অবহিত ছিলনা তেমনি পায়নি আভাষও। তারপরেও এঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্রই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে মর্গে প্রেরণ থেকে শুরু করে সবকিছু স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সবকিছু সম্পন্ন করে। এঘঠনায় নিহতের পরিবার এজাহার দায়েরে বিলম্ভ স্বত্বেও ঘঠনার পর পরই ঘঠনায় জড়িত সন্দেহে ১০/১৫জনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রাখে পুলিশ। স্বল্প সময়ের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুছিয়ে নেয় পুলিশ। এছাড়া আ’লীগ সভাপতি আ.ক.ম সাহাবউদ্দিন ফরায়েজীর লাশ উদ্ধার থেকে শুরু করে সকল আইনী প্রক্রিয়া পরিচালনা হয়েছে ও হচ্ছে সরকার ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষনিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলে স্থানীয় প্রশাসন এর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নেতৃস্থানীয়দের। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ চালায় ঘুমহারা তদন্ত অভিযান প্রক্রিয়া। পেকুয়া থানা পুলিশ মনোযোগী হয় আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি রোধ ও জানমালের নিরাপত্তা বিধানে। মাঠে নেমে খোঁজ খবরে ব্যস্ত সময় কাটান জেলা পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থ্যার লোকজন। এমনকি সঠিক তথ্য ও প্রকৃত অবস্থা জানতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দফায় দফায় সরোজমিন পরিদর্শন ও খোঁজ খবর সংগ্রহে কাঠান ব্যস্ত সময়। এসময় কক্সবাজার জেলা পুলিশের দূরদর্শী চৌকষ সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার(সার্কেল) এম.মাসুদ আলম খোদ নিজে সার্বক্ষনিক পেকুয়ায় অবস্থান সফরের মাধ্যমে চালান বিভিন্ন বিষয়ের মনিটরিং প্রক্রিয়া। যা নিয়ে হতাশা স্থানীয় পেকুয়া থানা পুলিশের মাঝে হতাশা দেখা দিলেও হয়নি তারা হালছাড়া। যদিও বিচ্ছিন্ন এসব ঘঠনায় সরকারের ভাবমূর্তি ও পুলিশের ইমেজ ক্ষুন্নের পাশাপাশি সূযোগ সন্ধানী মহলের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘঠানোর চেষ্টা পাঁয়তারা ও লাগামহীন মিথ্যাচারের রাজনীতির চললেও বিপাকে থাকা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়েনি হাল। কিন্তু দূঃখজনক হলেও সত্য যে, এসময় আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি রোধ, সকল শ্রেণী পেশার মানূষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও সরকারের অংশ হিসাবে পরিচিত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃস্থানীয়দের থানা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার পরিবর্তে বিচ্ছিন্ন ঘঠনাবলীকে পুঁজি করে খোদ সরকারদলীয় নেতৃস্থানীয়দের পক্ষপাতদূষ্ট লাগামহীন মিথ্যাচার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো, উস্কানী মূলক ক্ষোভ বিক্ষোভ তর্ক বিতর্কে ওসি’র অপসারন থানা পুলিশে পরিবর্তনের অনভিপ্রেত অযোক্তিক হটকারী দাবী ক্ষমতাসীন দলের প্রতিদ্বন্ধীদেরই খুশী ও ইন্দন দেয়া ছাড়া আর কি হতে পারে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন এর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নেতৃস্থানীয়দের ভাবালেও ছাড়েনি হাল হয়নি হতাশ। থানা পুলিশ চালিয়ে গেছে তাদের দৈনন্দিন রুটিন ওয়ার্ক। ফলে, সরকারের সকল মহল ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন হঠাৎ করে পেকুয়ার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির ঘটনাকে স্থানীয় থানা পুলিশ বা প্রশাসনের গাফিলতি ব্যর্থতার চেয়ে খোদ ক্ষমতাসীন সরকারদলীয় নেতৃস্থানীয়দের সংশ্লিষ্টতা ও অসহযোগিতাকেই দায়ী বলে জনমত পেয়ে তা দ্রুত সরকারের উচ্চ পর্যায় ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মহলকে অবহিত করায় পেকুয়ায় থানা পুলিশ বা প্রশাসনে পরিবর্তন দাবীর বিষয়টি উপেক্ষিত অপরিবর্তিত অবস্থায়েই থেকে যায়। আর তারই ফলশ্রুতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে স্থানীয় থানা পুলিশ ও প্রশাসন সরকারের হাই কমান্ড থেকে শুরু করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নানা নির্দ্দেশনা পরামর্শে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন পরিবর্তন কাজে সংশ্লিষ্টতায় জোর দিয়ে শুরু করে রুটিন ওয়ার্কের কাজ সম্পন্নের প্রক্রিয়া। এতে যেন হাফ ছেড়ে রক্ষা পরিত্রান পায় পেকুয়া থানা পুলিশ। আশাবাদী হয়ে উঠে আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন। সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে আরো দেখা যায় যে, সাম্প্রতিক সময়ে পেকুয়া থানা পুলিশের সহজ সরল মনোভাবই তাদের অহেতুক কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখী করে। আর কাকতালীয় ভাবে এতে তারা জিতেও যায়। এখন তাদের ব্যর্থতার গ্লানি ঝেড়ে নতুন করে সক্রিয় হওয়ার সময় ও সূযোগ এসেছে। এর কাজও শুরু করেছে বর্তমান পেকুয়ার থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। ওসি(তদন্ত) মোঃ শহিদ উল্লাহ’র সাথে এ প্রতিবেদকের আলাপকালে হঠাৎ করে পেকুয়ার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির রহস্যজনক ক্রমাবনতির বিষয়ে দ্বিমত মন্তব্য পাওয়া গেলেও নতুন করে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি রোধ, অপরাধ বন্ধ ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে নতুন উদ্যমে পেকুয়া থানা পুলিশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পর্যায় ও উর্ধ্বতন মহলের সার্বক্ষনিক মনিটরিং নজরদারী, নির্দ্দেশনা পরামর্শ অনুযায়ীই পরিচালনা নীতি গ্রহন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, সরকারী বেসরকারী সহায় সম্পদ জনমালের নিরাপত্তা বিধানে দেয়া হয়েছে নানা কঠিন নির্দ্দেশনা ও প্রয়োজনীয় বিশেষ সুযোগ সুবিধা। উক্ত নির্দ্দেশনার আলোকে দলমতের উর্ধ্বে উঠে আইনের শক্ত প্রয়োগের মাধ্যমেই পেকুয়ার আইন-শৃংখলার উন্নতি সাধন করা হবে। পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(প্রশাসন) মোঃ আবদুর রকিব জানান, খোদ কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের দূরদর্শী চৌকষ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(সার্কেল) এম.মাসুদ আলম এর সার্বক্ষনিক নির্দ্দেশনা পরামর্শ মোতাবেক ইতিমধ্যে পেকুয়া থানায় আনা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। প্রতিটি ইউনিয়নে বিদ্যমান অপরাধ ও অপরাধে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে সংগ্রহ হচ্ছে তথ্য উপাত্ত। প্রত্যন্ত পাড়া-মহল্লায় টহল ও নজরদারীতে মাঠে নামানো হয়েছে সাদা পোষাকের একাধিক বিশেষ পুলিশ টিম। দিনরাত চলছে টহল ও নজরদারী। জোরদার করা হয়েছে অভিযান প্রক্রিয়াও। গত ১৭অক্টোবর শনিবার থেকেই চলছে এসব প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে অনেক এলাকার অপরাধ ও অপরাধে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে সংগ্রহ করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্য উপাত্ত। কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে সাড়াশি অভিযান প্রক্রিয়া। আইন শৃংখলার অবনতি রোধ, অপরাধ নির্মূল ও অপরাধীদের পাকড়াওয়ে পেকুয়া থানা পুলিশের নিত্য নতুন আধূনিক গোয়েন্দা জাল পাঁতার সত্যতা ফলাফল আতংক ইতিমধ্যে এলাকার আন্ডার ওয়ার্ল্ডে ছড়িয়ে পড়েছে। যার ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাতের অভিযানে টইটংয়ের দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় ডাকাতি প্রস্তুতি বৈঠকে হানা দিয়ে পুলিশ বুরহান নামের ১ডাকাতদলের সদস্যকে আটক করে। পরে, তার স্বীকারোক্তিতে পাশর্^বর্তী বাঁশখালী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। একই রাতে পৃথক আরেক অভিযানে বারবাকিয়া-শিলখালীর আতংক হিসাবে পরিচিত ডাকাত বদাইয়ে বাহিনীর সোর্স হিসাবে পরিচিত আলমগীর নামে এক বখাটে উদ্ধার করে পুলিশ। একই রাতে বখাটে উপদ্রুত শিলখালীর আতংক মুক্তে বারবাকিয়ার ভারুয়াখালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে দূধর্ষ ডাকাত বদাইয়ে গ্রুপের সোর্স হিসাবে পরিচিত আলমগীর নামের এক বখাটেকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। পেকুয়া থানার ওসি রকিব ও তদন্ত(ওসি) মোঃ শহিদউল্লাহ এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপরাধ ও অপরাধীদের অবস্থানের বিষয়ে সকল শ্রেণী পেশার মানূষের কাছ থেকে তথ্য ও সহযোগিতা কামনা করে তারা আরো বলেন, পেকুয়ার মাটি ও মানূষের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখন থেকে প্রত্যন্ত পাড়া-মহল্লায় নিয়মিত রাতদিন পোষাকধারী ও সাদা পোষাকধারী পুলিশের নজরদারী ও টহলাভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন অপরাধীই যাতে আর পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে অবস্থান বা পার না পায় সে বিষয়ে সতর্ক থেকে ধরপাকড় অভিযান অব্যাহত রাখবে পুলিশ। এদিকে, স্থানীয়রাও পুলিশের এ অবস্থানের সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, মনে হয় পেকুয়া থানা পুলিশ আইন শৃংখলার অবনতি ঠেকাতে নড়েচড়ে বসেছেন। দিনরাত মাঠে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে সাদা পোষাক ও পোষাকি পুলিশের টহল নজরদারী। যার কারণে অপরাধ ও অপরাধে সংশ্লিষ্ট আন্ডার ওয়ার্ল্ডে দেখা দিয়েছে ধরপাকড় আতংক। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক চিহ্নিত অপরাধী ও অপরাধ সংশ্লিষ্টদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে আত্মগোপনে পাড়ি জমানোর প্রবনতা। কক্সবাজার জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(সার্কেল) মোঃ মাসুদ আলম পেকুয়া থানার ওসি মোঃ আবদুর রকিব ও তদন্ত(ওসি) শহিদ উল্লাহ’র নেতৃত্বে পেকুয়ায় অপরাধ ও অপরাধীদের আর কোন ছাড় পাড় রক্ষা নাই। এখন থেকে পেকুয়া থানা পুলিশ অপরাধ ও অপরাধীদের সাথে কোন ধরনের আপোষ করবেনা। অব্যাহত রাখবে অভিযান প্রক্রিয়া।
মন্তব্য করুন