বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
গিয়াস উদ্দিন
পুলিশ কি ? কেন তাদের কাছে যেতে হবে ? এভাবে দম্ভোক্তি করে পর পর ৪ বার পাঠানো নোটিশকে অগ্রাহ্য করেছে কথিত আদম পাচারকারী চক্রটি। এতে করে অসহায় দরিদ্র ভুক্তভোগি মহিলারা ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত হয়ে অবশেষে আদালতের আশ্রয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, রাশেদা বেগম স¦ামী মৃত গুরা মিয়া, হাজেরা বেগম স্বামী মৃত আহমদ কবির ও শাকেরা বেগম স্বামী আবদুল্লাহর মতো সহ একাধিক অসহায় বিধবা ও দরিদ্র মহিলাদের সৌদি আরব নিয়ে চাকুরী দেয়ার আশ্বাসে ঈদগাওর আদম পাচারকারীর এক চক্র হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। এরপর সৌদি আরব তো দুরের কথা, টাকার হদিসও পাচ্ছেনা এসব হতদরিদ্ররা। প্রায় ১ বছর ধরে এ চক্রের সাথে বাকযুদ্ধের পর ফলাফল শূন্য হওয়্য়া ভ’ক্তভোগিরা ঈদগাও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গত ১ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ করা হলে পুলিশ বিষয়টি সুষ্টু তদন্তের জন্য একাধিকবার নোটিশ পাঠায়। কিন্তু তারা কোন তোয়াক্কা না করে উল্টো বলে বেড়াচ্ছে পুলিশ কি, কেন তাদের কাছে যেতে হবে-ইত্যাদি। এসব কথা বললেন ভ’ক্তভোগিরা। অবশ্য এ ব্যাপারে পোকখালী ইউপির ছৈয়দনুর মেম্বার ও ভেদু নামক ব্যক্তির ইন্দন থাকায় তাদের আস্কারা বেড়েছে।
স্থানীয় লোকজনের মতে তারা অপরাধীদের কাছ হতে নানাবিধ সুবিধা আদায় করে থাকে। জানা যায়, সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নাপিতখালী গ্রামের বিধবা মহিলা রাশেদা বেগমের কাছ হতে ৪০ হাজার টাকা, একই গ্রামের শাকেরা বেগমের কাছ হতে ৫৩ হাজার টাকা এবং ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ইউছুপেরখীল গ্রামের আরেক বিধবা মহিলা হাজেরা বেগমের কাছ হতে ২০ হাজার টাকা সহ ভাদিতলা ও পোকখালী ইউনিয়নের আরো বেশ কয়েকজনের কাছ হতে এভাবে টাকা নেয় ইছাখালী এলাকার মোহাম্মদ আলম, আমির হামজা ও শামশুল আলম নামক ব্যক্তিরা। এরা বিভিন্ন কৌশলে ওই মহিলাদের অসহায়ত্বের সুযোগে ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রে আরো প্রকাশ, ওই মহিলাদের মেডিক্যাল চেকআপ করার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম নিয়ে হয়রানিও করা হয়েছে। পরিস্থিতির শিকার রামেদা ও শাকেরা জানান তাদের নিকটাত্মীয় হওয়ায় সরলতার সুবাধে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ডকুমেন্ট তৈরি করেনি।
মন্তব্য করুন