শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন
সরওয়ার কামাল মহেশখালী॥
সাগর থেকে আহরিত কাচাঁ মাছকে বিষের পানিতে চুবিয়ে রোদে শুকানো মাছ মানবদেহের জন্য মারাতœক ক্ষতিকর। কাঁচা মাছ মাংসে যে পরিমান খাদ্য প্রোটিন পাওয়া যায় তদ্রুপ ভাবে বিষ মুক্ত শুকনা মাছে ও পাওয়া যায়। অতিব দুঃখের বিষয় হল কিছু অসাধু শুটকি ব্যবসায়ী বিষের পানিতে চুবিয়ে ক্ষতিকারক খাদ্যে পরিনত করে। যুগের পর যুগধরে মানবজাতিরা বেশী আর কম নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কোন না কোন ভাবে স্থান পায় সুস্বাদু এ শুটকি। অপরদিকে বিশাল একটি জেলে জনগোষ্টি এ শুটকি প্রকৃয়ায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। দেশবিদেশে রপ্তানী করে নানান দেশের জেলেরা অর্জন করে বিপুল পরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা।
অথচ এ মূল্যবান একটি সম্পদ এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা মানবদেহের ক্ষতিকরে পরিনত করেছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শুটকি প্রকৃয়াজাতকরণ ও শুটকিতে মানব দেহের মারাত্বক ক্ষতি কারক কীটনাশক (বিষ) প্রয়োগ করে শুটকি তৈরীর ফলে প্রোটিন সমৃদ্ধ এ শুটকি পরিনত হচ্ছে মানব দেহের হুমকি স্বরূপ। অসাধু জেলেরা বিষ মেশানো এ শুটকি খাওয়াচ্ছে ভুজন বিলাশি লোকজনকে। ভোক্তারা জানেনা তারা প্রোটিনের বদলে খাচ্ছে ক্ষতিকর বিষ। দেশের উল্লেখ যোগ্য শুটকি মহালের মধ্যে মহেশখালীর সোনাদিয়া শুটকি মহাল অন্যতম। শুটকি তৈরীর সাথে জড়িত একাধিক জেলের সাথে আলাপ করে জানা গেছে যে, মাছ রোদে শুকানোর পূর্বে মাছে পঁচন ধরলে তাতে পোকা আসে। এ পোকা ধ্বংস করতে বা পোকা না আসার জন্য ড্রাম ভর্তি পানিতে বিষ মিশিয়ে তাতে মাছ গুলো চুবিয়ে নিয়ে রোদে দিলে মাছে পোকা আসেনা বলে জানান তারা।
আবার দীর্ঘ দিন গুদামজাত করে রাখলে তাতেও পোকার আক্রমন হয় বিধায়, গুদামজাতকারীরাও শুটকিতে কীট নাশক ¯েপ্র করে থাকে। অপরদিকে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মাছের জলীয় অংশকে তাড়াতাড়ি বের করার উপায় হিসাবে অনেকেই ব্যবহার করছে শুটকিতে লবণ পানি। এ লবণ পানি ব্যবহার করা হয় ড্রাম ভর্তি লবণের দ্রবনে আধা শুকনা শুটকি ভিজিয়ে আবার রোদে শুকিয়ে।
এসব কারণে প্রোটিন সমৃদ্ধ শুটকি মানব দেহের জন্য হয়ে উঠছে মারাত্বক হুমকি সমৃদ্ধ খাদ্য হিসাবে।
স্থানীয় ডাক্তারদের সাথে কীট নাশক মিশ্রিত বা লবণ পানি মিশ্রিত শুটকি খেলে মানবদেহে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে এ প্রশ্ন করা হলে ডাক্তাররা জানান, এ ধরনের অস্বাস্থ্যকর শুটকি খেলে মানবদেহে মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। যেমন-এধরনের বিষ মিশ্রিত খাদ্যের ফলে পাকস্থলিতে আলসার, ক্যান্সার সহ নানা ধরনের পেটের পীড়া হতে পারে। তাই শুটকি তৈরীতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, মানব দেহের ক্ষতিকরে এধরনে কোন কীটনাশক না মিশিয়ে স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে শুটকি তৈরী করতে জেলেদের সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে।
মন্তব্য করুন