শনিবার সকালে কর্মসূচির পর থেকে নগরী ও জেলার কলেজগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
সরকার অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদনের পর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি দেশব্যাপী এ কর্মসূচির ডাক দেয়। এই বেতন কাঠামো নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আন্দোলনে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরাও।
বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২০টি সরকারি কলেজের শিক্ষকরা সকাল থেকে কর্মবিরতির পাশাপাশি সমাবেশও করছেন।
সকালে নগরীর চট্টগ্রাম কলেজ, হাজী মোহাম্মদ মহসীন কলেজ, সরকারি কমার্স কলেজ, সিটি কলেজ ও নাসিরাবাদ সরকারি মহিলা কলেজে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
এছাড়া গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ, পটিয়া কলেজ, কক্সবাজার সরকারি কলেজ, কক্সবাজার মহিলা কলেজ ও তিন পার্বত্য জেলার কলেজগুলোতেও কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া গেছে।
নাসিরাবাদ সরকারি কলেজের প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়া সাতকানিয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক আমিনুল আনোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন যে বেতন স্কেল ঘোষণা করা হয়েছে তাতে আমাদের পদমর্যাদার অবনমন হয়েছে।
“নতুন পদ্ধতিতে একজন শিক্ষককে চতুর্থ গ্রেডে থাকা অবস্থাতেই অবসরে চলে যেতে হবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
মহিলা কলেজের সমাবেশে থাকা কুমিল্লা শহীদ নজরুল কলেজের উপাধ্যক্ষ শাহ মো. আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নতুন স্কেলে তো অধ্যাপক, সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপকরা সবাই একই গ্রেডে বেতন পাবেন।
অষ্টম বেতন কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধনে সরকারি কলেজের শিক্ষকরা (ফাইল ছবি)
সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক অ্যালেক্স আলীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছি। আগের পদমর্যাদা থেকে আমাদের অবনমন করা হয়েছে।
“নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষকরা তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত হতে পারবেন না। ফলে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের প্রধান হবেন অন্য ক্যাডারের লোকজন। পরিণতিতে দেখা যাবে একসময় কলেজের অধ্যক্ষও হচ্ছেন অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আমরা এটা মানব না।”
হাজী মোহাম্মদ মহসীন কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, “নতুন স্কেলে বেতন বাড়লেও সেটা আমরা উপভোগ করতে পারছি না। কারণ এটা আমাদের সম্মানের প্রশ্ন।
“শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। আশা করি, সরকারও আমাদের দাবি মেনে নেবে।”
এদিকে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও এই কর্মসূচিতে একাত্ম।
সরকারি ছুটি থাকায় সেখানে শনিবার কর্মবিরতি পালিত না হলেও রোববার হবে বলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন