রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার ইউনিটের সভাপতি নুরুল আবছার জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শিশুদের আদালতে নিয়ে আসে । ফেরত আসা এসব শিশুদের নিজ নিজ অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া ফেরত আসা অপর ৯৭ জনের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে বুধবার তাদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা।
“তাদের অভিভাবকদের হাতে হস্তান্তরের পর এ ব্যাপারে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তরের জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছয় জনকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা কক্সবাজার ত্যাগ করবেন বলে জানান তিনি।
অপ্রাপ্ত বয়স্করা হলো বগুড়ার কাহালু উপজেলার মালিগাছার সকির উদ্দিনের ছেলে মো. শামীম হোসেন (১৭), জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার সমনতাহারের বাবু মন্ডলের ছেলে মো. আব্দুল মোতালেব (১৬), রজিম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আন্তু (১৭), নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার মধ্যনগরের কামাল হোসেনের ছেলে মো. রাসেল (১৬), নরসিংদী সদরের গদাচরের কাউছারের ছেলে মোহাম্মদ রনি (১৫) এবং চুয়াডাঙ্গা সদরের বলদিয়ার পিনু হোসেনের ছেলে মো. সুমন হোসেন (১৬)।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানান, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রেখে মঙ্গলবার রাত ও বুধবার সকালের মধ্যে ফেরত আসাদের ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট কাজ শেষ করা হবে।
“তথ্য সংগ্রহের জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।”
বুধবার দুপুরের মধ্যে তাদের আইওএমর সহায়তায় নিজ নিজ জিন্মায় বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এসপি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ন্যাশনাল প্রোগাম অফিসার আসিফ মুনীর জানান, ১০৩ জনের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ৯৭ জনকে বুধবার দুপুরের মধ্যে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ার পর আইওএমর সহায়তায় নিজ নিজ বাড়ি পৌঁছানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ২০৮ জন এবং ২৯ মে আরো ৭২৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে দেশটির নৌ-বাহিনী।
এদের মধ্যে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্তদের মধ্যে ৮ জুন, ১৯ জুন, ২২ জুলাই, ১০ অগাস্ট ও ২৫ অগাস্ট পাঁচ দফায় দেশে ফেরত আনা হয় ৬২৬ জনকে। ষষ্ঠ দফায় আনা ১০৩ জনসহ এ পর্যন্ত ফেরত আনা হলো ৭২৯ জনকে।
মন্তব্য করুন