সোমবার বেলা ১টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতু’ দিয়ে তাদের ফেরত আনা হয়।
এ নিয়ে ছয় দফায় ৭২৯ জনকে ফেরত আনা হলো।
বিজিবির কক্সবাজার ১৭ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইমরান উল্লাহ সরকার একথা জানান।
ষষ্ঠ দফায় ৭৩ জনকে ফেরত আনার কথা থাকলেও তালিকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত নতুন করে ৩০ জনের নাম যোগ হয়েছে বলে জানান মেজর ইমরান।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুর বাংলাদেশ অংশে এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম. এম. আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের জলসীমায় উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে আরও ৬০ জন বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। তাদের ফেরত আনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ঠ পর্যায়ে কার্যক্রম চলছে।
মিয়ানমারের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমান্তে উগ্রপন্থিরা যাতে কোনো গোলযোগ সৃষ্টি করতে না পারে সেই ব্যাপারে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সহায়তা চাওয়ার কথাও তিনি সাংবাদিকদের জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক চ নাইং বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্তদের ফেরত আনায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
আগামীতেও বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের হৃদ্যতাপূর্ণ এ সম্পর্ক বজায় রাখতে সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান তিনি।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানান, মিয়ানমার থেকে ১০৩ জনকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতু দিয়ে দুপুরে দেশে ফেরত আনা হয়। এরপর চারটি বাসযোগে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নিয়ে আসা হয়।
“ওখানে ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট কাজ শেষ করে তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপরই তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।”
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘুমধুম সীমান্তের জিরো পয়েন্টের বিপরীতে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়ায় ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের পতাকা বৈঠকে অংশ নিতে বিজিবির ২১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার যায়।
কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইমরান উল্লাহ সরকারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে বিজিবি ছাড়াও জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, চিকিৎসক ও ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
প্রতিনিধি দলে পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিলেন বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম. এম. আনিসুর রহমান।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর ন্যাশনাল প্রোগাম অফিসার আসিফ মুনীর জানান, ফেরত আনা ১০৩ জনকে আইওএমর পক্ষ থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত খাদ্য, চিকিৎসা ও যাতায়াত খরচসহ সব মানবিক সহায়তা আইওএম দেবে।
ফেরত আসাদের মধ্যে ছয় শিশু-কিশোর রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ২০৮ জন এবং ২৯ মে আরো ৭২৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে দেশটির নৌ-বাহিনী।
এদের মধ্যে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্তদের মধ্যে ৮ জুন, ১৯ জুন, ২২ জুলাই, ১০ অগাস্ট ও ২৫ অগাস্ট পাঁচ দফায় দেশে ফেরত আনা হয় ৬২৬ জনকে। ষষ্ঠ দফায় আনা ১০৩ জনসহ এ পর্যন্ত ফেরত আনা হলো ৭২৯ জনকে।
মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধারের পর বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত আরও ১০৩ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে ফেরত আনা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতু’ দিয়ে তাদের ফেরত আনা হয়।
এ নিয়ে ছয় দফায় ৭২৯ জনকে ফেরত আনা হলো।
বিজিবির কক্সবাজার ১৭ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইমরান উল্লাহ সরকার একথা জানান।
ষষ্ঠ দফায় ৭৩ জনকে ফেরত আনার কথা থাকলেও তালিকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত নতুন করে ৩০ জনের নাম যোগ হয়েছে বলে জানান মেজর ইমরান।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুর বাংলাদেশ অংশে এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম. এম. আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের জলসীমায় উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে আরও ৬০ জন বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। তাদের ফেরত আনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ঠ পর্যায়ে কার্যক্রম চলছে।
মিয়ানমারের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমান্তে উগ্রপন্থিরা যাতে কোনো গোলযোগ সৃষ্টি করতে না পারে সেই ব্যাপারে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সহায়তা চাওয়ার কথাও তিনি সাংবাদিকদের জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক চ নাইং বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্তদের ফেরত আনায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
আগামীতেও বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের হৃদ্যতাপূর্ণ এ সম্পর্ক বজায় রাখতে সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান তিনি।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানান, মিয়ানমার থেকে ১০৩ জনকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতু দিয়ে দুপুরে দেশে ফেরত আনা হয়। এরপর চারটি বাসযোগে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নিয়ে আসা হয়।
“ওখানে ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট কাজ শেষ করে তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপরই তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।”
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘুমধুম সীমান্তের জিরো পয়েন্টের বিপরীতে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়ায় ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের পতাকা বৈঠকে অংশ নিতে বিজিবির ২১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার যায়।
কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইমরান উল্লাহ সরকারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে বিজিবি ছাড়াও জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, চিকিৎসক ও ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
প্রতিনিধি দলে পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিলেন বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম. এম. আনিসুর রহমান।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর ন্যাশনাল প্রোগাম অফিসার আসিফ মুনীর জানান, ফেরত আনা ১০৩ জনকে আইওএমর পক্ষ থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত খাদ্য, চিকিৎসা ও যাতায়াত খরচসহ সব মানবিক সহায়তা আইওএম দেবে।
ফেরত আসাদের মধ্যে ছয় শিশু-কিশোর রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ২০৮ জন এবং ২৯ মে আরো ৭২৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে দেশটির নৌ-বাহিনী।
এদের মধ্যে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্তদের মধ্যে ৮ জুন, ১৯ জুন, ২২ জুলাই, ১০ অগাস্ট ও ২৫ অগাস্ট পাঁচ দফায় দেশে ফেরত আনা হয় ৬২৬ জনকে। ষষ্ঠ দফায় আনা ১০৩ জনসহ এ পর্যন্ত ফেরত আনা হলো ৭২৯ জনকে।
মন্তব্য করুন