বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২৭ অপরাহ্ন
আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স॥
নারীর জীবনের সবচেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার একটি গর্ভপাত। এ ঘটনা তার সঙ্গীর কাছেও দারুণ বেদনাদায়ক। আমেরিকার সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়, ১০-২৫ শতাংশ গর্ভবতী নারীর গর্ভাবস্থায় ২০ সপ্তাহের আগেই গর্ভপাত ঘটে। এই দুঃখজনক ঘটনার ৯টি কারণ জেনে নিন।
১. জিন বা ক্রোমোজমে অস্বাভাবিকতা : বেশিরভাগ গর্ভপাত ঘটে জেনেটিক বা ক্রোমোজম ঘটিত কারণে। এগুলো ডাউন সিনড্রোম, সিস্টিক ফিবোরোসিস বা টারনার সিনড্রোম নামে পরিচিত। শারীরবৃত্তিয় কারণে ক্রোমোজম ভুল পথে পরিচালিত হয়। মূলত গর্ভপাত ঘটলে চিকিৎসককে এর কারণ খোঁজার দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
২. শুক্রাণুর ডিএনএ গঠন : গর্ভপাতের আরেকটি কারণ হতে পারে, শুক্রাণু সুষ্ঠুভাবে ভেঙে ডিম্বাণুকে ডিএনএ সরবরাহ করতে পারে না। শুক্রাণুকে এ ধরনের সমস্যা থাকলে গর্ভপাত ঘটতে পারে।
৩. হরমোন : নারীর দেহে প্রোজেস্টেরণ হরমোনের অভাবের কারণে সুষ্ঠু গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে।
৪. স্থুলতা : আমেরিকার সিডিসি ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ স্ট্যাটিস্টিকস-এর এক জরিপে বলা হয়, প্রতি চার জন নারীর মধ্যে একজন গর্ভধারণের আগেই স্থুলকায় হয়ে যান। এটি গর্ভপাতের অন্যতম কারণ হতে পারে।
৫. ব্যালেন্সড ট্রান্সলোকেশন ক্যারিয়ার : এমন ঘঠে যখন নারী-পুরুষের উভয়ের জিনের ভুল অবস্থানে থাকে। কোষ বিভাজন এবং শুক্রাণু ও ডিম্বাণু প্রস্তুতের আগে জিনগত অবস্থান সাধারণত ঠিকঠাক হয় না।
৬. জরায়ুর অস্বাভাবিকতা : জরায়ুতে জেনেটিক সমস্যা থেকে থাকলেও গর্ভপাতের আশঙ্কা রয়েছে। সাধারণত জরায়ুতে বাড়তি একটা টিস্যু জন্মে যাকে বলা হয় সেপটাম। এতে রক্তপ্রবাহের প্রক্রিয়া জরায়ুর অন্যান্য অংশ অপেক্ষা ভিন্ন থাকে। যদি সেপটামে জায়গট গঠন হয়, তবে গর্ভপাতের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
৭. অ্যান্টিফসফোলিপিড সিনড্রোম : এটা এমন এক অবস্থা যখন অ্যান্টিফসফোলিপিড অ্যান্টিবডি রক্তকে থিকথিকে তরলে জমাট করে ফেলে। এটা গর্ভাশয়ে জাইগোট গঠনে বাধা সৃষ্টি করে এবং গর্ভপাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৮. মাদক ও বিষাক্ত উপাদান : ধূমপান, অ্যালকোহলে আসক্তি এবং অন্যান্য মাদকের ব্যবহারে গর্ভপাত ঘটে।
৯. সংক্রমণ : মাইক্রপ্লাজমা এমন এক ধরনের সংক্রমণ যা জরায়ুর লাইনিংয়ে আক্রমণ করে। এতে বাড়তি কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয় না। কিন্তু এটা গর্ভপাত ঘটাতে পারে। সূত্র : ফক্স নিউজ
মন্তব্য করুন