নিজস্ব প্রতিনিধি, নাইক্ষ্যংছড়ি :
কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের টাইমবাজার এলাকায় সুলতান আহমদ (৩০) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হলেও আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় নিহতের পরিবারে চরম হতাশা নেমে এসেছে। উল্টো এ ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমজান হোসেনের বিরুদ্ধে রহস্যময় ভূমিকা পালনের অভিযোগ তুলেছে মামলার বাদি দিলদার বেগম।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নুরুল আজিমের বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা চুরির অভিযোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে দিনমজুর সুলতানকে টাইমবাজারে ধরে আনা হয়। এরপর নুরুল আজিম, হারুন সহ অন্যান্যরা সুলতানকে বেদম মারধর করে মধ্যযুগিয় কায়দায় নির্যাতন চালান।
খবর পেয়ে স্ত্রী দিলদার বেগম ছুটে এসে স্বামী সুলতানকে বাড়ি নিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত সুলতান পরদিন সন্ধ্যায় যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে মারা যান। এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে নানা তালবাহানা শুরু করা হয়।
গণমাধ্যমে এ ঘটনার চলে আসলে গত ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় সহকারী পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) আবদুল মালেক ও রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বেদম মারধরে হত্যার সত্যতা পায়।
পরে নিহতের স্ত্রী দিলদার বেগম বাদি হয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, গর্জনিয়া ইউনিয়নের টাইমবাজারের নুরুল আজিম ও তাঁর ভাই মাওলানা মো. শামশু এবং একই এলাকার মো. হারুন।
মামলার বাদি দিলদার বেগম বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে বলেন, স্বামীর হত্যাকারিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আসামীরা বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর আইসি রমজান হোসেন এক আসামিকে বাদ দেওয়ার জন্যও বলছে! কিন্তু আমরা কাউকে বাদ দিব না। কারণ ওই তিন জনের জন্যই আমার স্বামী অকালে প্রাণ হারিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমজান হোসেনের সাথে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।