বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন

আন্দোলনে প্রাথমিক শিক্ষকরা পিএসসি পরীক্ষা বর্জনের হুমকি

আন্দোলনে প্রাথমিক শিক্ষকরা পিএসসি পরীক্ষা বর্জনের হুমকি

অনলাইন বিজ্ঞাপন

আলোকিত কক্সবাজর ডেক্স: 

স্বতন্ত্র বেতন কমিশন গঠন এবং নতুন বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখাসহ বিভিন্ন দাবিতে এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি) বর্জনের হুমকি দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তবে এর আগে আগামী শনি ও রবিবার দুই ঘণ্টা করে এবং সোমবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা এবং পিএসসি পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। এর আগে গত সোমবার বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সহকারী ঐক্যজোট একই দাবিতে প্রতি বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস এবং প্রতি শনিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দেয়। প্রাথমিক শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন থাকলেও তারা সবাই একে একে প্রায় একই দাবিতে পৃথকভাবে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করছে।

শিক্ষকদের দাবিগুলো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নীত স্কেলে প্রধান শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণী জটিলতা দ্রুত নিরসন, সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির সুযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পর্যন্ত সব শিক্ষকের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদান, জাতীয় বেতন স্কেলে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখা, সহকারী শিক্ষককে এন্ট্রি পদ ধরে পরিচালক পর্যন্ত শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং নিয়োগবিধি সংশোধনী।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমকি প্রদান করে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিষয়গুলো মৌখিক ও লিখিতভাবে একাধিকবার জানিয়েছি। এরপর মানববন্ধনসহ বিভিন্ন মৌন কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু সরকার আমাদের কোনো কথাই শুনছে না। তাই আমরা এবার ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর দুই ঘণ্টা এবং ২১ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি। তবে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না হলে ১৫ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সারা দেশের শিক্ষকরা জমায়েত হয়ে মানববন্ধন করব। আর সেখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

লিখিত বক্তব্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা ও বেতন স্কেল উন্নীত করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দেড় বছর পরও প্রধান শিক্ষকরা উন্নীত স্কেলের কোনো আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন না। এতে করে সারা দেশের শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা, তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।’

আনোয়ারুল ইসলাম আরো বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি বন্ধ। ফলে সারা দেশে সাত বছর ধরে হাজার হাজার প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাই দ্রুত পদোন্নতির জটিলতা নিরসন করাটাও জরুরি হয়ে পড়েছে। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ও জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদানের কথা থাকলেও তা অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো. আবুল বাসার, সিনিয়র সহসভাপতি জাহানারা খানম, জুলফিকার আলী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক গাজীউল হক চৌধুরী, আবুল কাসেম, অর্থ সম্পাদক সুবল চন্দ্র পাল প্রমুখ। সূত্র-কালেরকন্ঠ


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM